পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার অন্তর্ভুক্ত মহিপুর সদর ইউনিয়নের মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের মোহাম্মদ আবু সালেহ ও মাসুমা বেগম দম্পতির জমি দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
একই গ্রামের মনসুর দালালের পুত্র শানু দালালের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক রাতের আঁধারে এ ঘরবাড়ি তৈরী ও কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আবু সালে বলেন, বিবাদীরা অত্যন্ত প্রভাবশালী ধনাঢ্য লোক তারা আমাকে অসহায় পেয়ে আমার কবলা দলিলকৃত প্রায় ১৫০শতাংশ জমি অন্যায় ভাবে দখল নেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। রাতের আঁধারে ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছে।
মোসা. মাসুমা বেগম সাংবাদিকদের জানায়, উপজেলার ২৭নং জেএল ইউসুবপুর মৌজার এসএ ১৪৪, ৩৫২, ৩৫ নং খতিয়ানের যাহার বিএস নং ২৬৭, ১৪৫ দাগ নং ২৫০৮/২৫০৯/২৫১০/২৩৯১/৩০৩৬/৩০২০ দাগের জমির ওয়ারিশ ও সাব কবলা ক্রয়সূত্রে মালিক আমি ও আমার স্বামী। কাজের সুবাদে আমরা দূরে থাকায়, আমাদের অনুপস্থিতিতে রাতের আঁধারে শানু হাওলাদার তার ছেলে, জামাতা সহ লোকজন নিয়ে তড়িঘড়ি করে জায়গা দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ পুকুর খনন করে।
আমরা বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা ইউপি সদস্য, ইউপি চেয়ারমান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দ্বারস্থ হই।
তিনি আরও বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে মহিপুর থানা কর্তৃপক্ষ নোটিশ জারি করে সম্পত্তিতে ঘরবাড়ি তৈরি করতে নিষেধ করা সত্ত্বেও সানু হাওলদার রাতের আঁধারে বাড়ি ঘড় তৈরী করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মেম্বার জানান, প্রায় ৮ বছর আগে আবু সালেকের ৪২কাঠা জমি বিক্রির কথা হয় শানু হাওলাদারের সাথে ৩৪হাজার টাকা শতক দরে ১৪লাখ টাকা দাম ধরা হয়।
শানু হাওলাদার আমার কাছে জামানত হিসেবে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জমা রাখা হয়।
সেখান থেকে আমি আবু সালেক কে ১লক্ষ ২২হাজার টাকা দেই, বাকি টাকা ১৩লক্ষ টাকা শানু সময়মতো না দিতে পারায় জমি বেচা বিক্রি হয়নি। এবং আমার কাছে জামানত হিসেবে রাখা বাকি ১লক্ষ ২৮ হাজার টাকা শানু হাওলাদার নিয়ে যায়। এবং জমি বেচা-বিক্রি হয়না।
স্থানীয় বাসিন্দা গাজী হুমায়ুন বলেন, আবু সালেক হাওলাদারের জমি আমার কাছে খাই খালাসী হিসেবে বন্ধক ছিল, আইউব আকন ও শানু হাওলাদার এসে আমার কাছ থেকে দলিল নিয়ে যায়। এবং আমাকে বলে যায় আবু সালেক'র কাছে ১লক্ষ ২২ হাজার টাকা পাব। তার বিনিময়ে ৭বছর জমি ভোগ করেন। এবং তার অনুপস্থিতিতে প্রায় ৩০ শতক জমি দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ ও পুকুর খনন করেন।
অপর বাসিন্দা ছোবাহান হাওলাদার জানান, শানু হাওলাদারের জমি আমি ক্রয় করবো এবং শানু আবু সালেকের জমি ক্রয় করবে, এই মর্মে আমি শানুকে ৮ লক্ষ টাকা দেই, সে আমাকে জমি না দিয়ে কালক্ষেপণ করে ২/৩ বছর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাখে, আবু সালেকের জমি ক্রয় করতে না পারায় সেও আর আমাকে তার জমি দেয়নি পরে মহিপুর থানা পুলিশের শরণাপন্ন হয়ে আমি আমার টাকা উদ্ধারকরি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শানু হাওলাদার জানান, ‘জমিটি আমার কাছে বিক্রি করার কথা ছিল কিন্তু সে আমাকে দলিল দেয়নি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: