নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং সদস্যরা সত্তোরোর্ধ্ব এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে আহত করেছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন, মারধরের শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার (৭২) ও তার নাতি মেহেদী সাকিব (১৮) এবং তার বন্ধু উপজেলার হাবিবপুর গ্রামের দীন মোহাম্মদের ছেলে ওমর ফারুক সানি (২৫)।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মারধরের শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার অভিযোগ করে বলেন, রাত পৌনে ৮টার দিকে আমি নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় লোকজন আমাকে জানায় বাদশা নামে এক ছেলে ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমার নাতি বসুরহাট পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাকিবকে মারধর করতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থান করছে। এমন খবর শুনে আমি বাদশাকে লোহার রড ও হাতুড়ি সহ আটক করে গায়ে থাপ্পড় দেয়। আসস্মিক সেখানে আসে কিশোর গ্যাং লিড়ার মোহন (১৮) জয় সহ ১০-১৫জন। একপর্যায়ে তারা আমাকে বাদশাকে থাপ্পড় দেয়ার কারণ জানতে চেয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। আমাকে চিত করে পেলে দিয়ে মারধর করে। এ ঘটনায় আমার নাতি সহ আহত দুজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কি বলব লজ্জার কথা। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা এসব কথা বলতেও আমার কাছে লজ্জা লাগছে। এ ঘটনায় তিনি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার সঙ্গে কথা বলে মামলা করবেন বলেও জানান।
হামলার শিকার ছাত্রলীগ নেতা সাকিব জানান, সন্ধ্যার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে কিশোর গ্যাং লিডার মোহন ও বাদশার নেতৃত্বে ১০-১৫ জন লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমার নানা ও বন্ধু সানি আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে কিশোর গ্যাং সদস্যরা তাদের ওপরও হামলা চালায়। তবে হামলার কারণ সম্পর্কে এ ছাত্রলীগ নেতা কিছু জানেননা বলে দাবি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মোহন সহ অন্যদের মুঠোফোনে কল করা হলেও তাদের ফোনে ব্যস্ত পাওয়া যায়। তাই এ বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাদেকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে এ বিষয়ে তিনি আর কোনো মন্তব্য করেননি।
এমএএম/
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: