ভোলাহাটে অনুমতি ছাড়াই বন বিভাগের গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। পক্ষান্তরে সমঝোতায় বন কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম এবং ভোলাহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ গোলাম কবিরের সমঝোতায় টাকার ভাগবাটোয়ারার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোলাহাট উপজেলার দলদলী ইউনিয়নের নিমগাছি মৌজায় একতা ভাটার অভিমুখে রাস্তার পাশে গাছ কাটার মুহূর্তে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় গাছ ক্রয় করার দাবি করে নিমগাছি গ্রামের মৃত কালিমুদ্দিনের ছেলে মোঃ এমরান আলী (৫৫) বলেন, আমি খালে আলমপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে মোঃ সুলতান আলীর নিকট থেকে আট হাজার টাকায় একটি শিসা গাছ ক্রয় করি। তিনি আরও জানান, কবির সাংবাদিক এবং অফিসার এসে ঝামেলা করলে সুলতান তারা দুইজনকে টাকা দিয়ে দেয়।
এবিষয়ে সুলতান আলীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, আমরাই এই গাছগুলো লাগিয়েছি তাই গাছ বিক্রি করেছি। গাছ বিক্রির কথা বন কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম জানেন বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন কবির সাংবাদিকের সামনে বন কর্মকর্তা মোঃ সেরাজুল ইসলামকে গাছ বিক্রির আট হাজার টাকা দিয়ে দিয়েছি। তিনি এও বলেন যে, যা ঝামেলা ছিল বন কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলামের সাথে মিটমাট করে নিয়েছি।
এব্যাপারে ভোলাহাট উপজেলা বন কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার কাছে থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি তবে সুফলভোগীদের মধ্যে একটা সমন্বয়হীনতা আছে তাই ঝামেলা হয়েছে। পরে আমি গাছটিকে আমার হেফাজতে নিয়েছি বলেও জানান এবং টাকার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। তিনি আরও বলেন কবির ভাই (সাংবাদিক) সুফলভোগী সমিতির সভাপতি। বনবিভাগ ও সুফলভোগীদের যৌথ উদ্যোগে লাগানো গাছের অংশ হিসেবে আমরা তাদেরকে কিছু বিক্রি করতে দিয়ে থাকি তবে এটার ব্যাপারে আমি কিছু জানতামনা।
তবে এলাকার কিছু গন্যমান্য ব্যক্তির অভিযোগ, মাঝে মধ্যেই এই রাস্তার গাছগুলো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই কাটে বনবিভাগ। যা সামাজিক বনায়ন ধ্বংসের অংশ হিসেবে পরিগনিত। তারা বলেন এভাবে চলতে থাকলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হবে। এগুলো থেকে পরিত্রাণ পেতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: