চুয়াডাঙ্গার নাগদহ গ্রামের মাসুদ রানা মিথুনের বিরুদ্ধে অবৈধ বিটকয়েন ব্যবসার নামে সহজ-সরল মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। লগ্নিকারীরা তাদের লগ্নিকৃত টাকা ফেরৎ চাইলেই মিলছে প্রাণনাশের হুমকি। এমন অভিযোগ এনে আলমডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন একই গ্রামের মো. রাজীব নামের এক যুবক।
সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্ত মাসুদ রানা মিথুনের ‘অনলাইনে লাভজনক ব্যবসা’র প্রলোভনে পড়ে এবং করোনাকালীন বেকারত্ব থেকে মুক্তি পেতে মিথুনের কাছে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা লগ্নি করেন নাগদহ গ্রামের মৃত সাদেক আলী বিশ^াসের ছেলে মো. রাজীব। কিছুদিন পর অনলাইন ব্যবসার বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন মিথুন অবৈধ বিটকয়েন ব্যবসার সাথে জড়িত। বিষয়টি জানার পর তিনি মিথুনের কাছে তার লগ্নিকৃত টাকা ফেরত চান। এতে ক্ষিপ্ত হন মিথুন। শুরু হয় নানাভাবে হুমকি-ধামকি। বাড়িতে দূর্বৃত্ত পাঠিয়ে অপহরণ ও প্রাণনাশের ভয়ও দেখাচ্ছেন। এ অবস্থায় ভুক্তভোগি নিজের ও স্ত্রী-সন্তানের জীবনের নিরাপত্তার জন্য স্বপরিবারে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
একই গ্রামের আতিয়ার রহমান বলেন, তিনিও অনলাইন কাজে ভাগ্য বদলের আশায় মাসুদ রানা মিথুনের কাছে ৪০ হাজার টাকা লগ্নি করেন। কিছুদিন কাজ করার পর তার আরো ৪০ হাজার টাকা লাভ হয়। কিন্তু তিনি যখন জানতে পারেন ‘বিটকয়েন ব্যবসা অবৈধ’ তখন তিনি তার টাকা ফেরত চান মিথুনের কাছে। এতে ক্ষিপ্ত হয় মিথুন। তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আটকে রাখেন। পরে কৌশলে তার কাছ থেকে ছাড়া পান তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিথুন বলেন, অভিযোগকারী রাজীব ও অতিয়ার আমার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। তারা সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে আমার ফ্রিল্যান্সিং একাউন্টের পাসওয়ার্ড চুরি করে প্রায় মোটা অংকের ডলার ও বিটকয়েন সরিয়ে নেয়। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ দিয়ে কয়েক দফা পরীক্ষাও করা হয়েছে। সেসব বিষয় ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য ম্যানেজার রাজীব মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: