কক্সবাজারে বেড়াতে আসা এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলার আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে চকরিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে বলে জানায় পুলিশ।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম ইসরাফিল হুদা ওরফে জয়। ইসরাফিল হুদা কক্সবাজার পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাহারছড়ার তাজর মুল্লুক সড়কের শফিউদ্দীন ওরফে গুন্ডা শফির ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোহাম্মদ মুসলিম বলেন, এ পর্যন্ত মামলার প্রধান আসামি মো. আশিকসহ এজাহারনামীয় তিনজন এবং ভুক্তভোগী নারীর আদালতে দেওয়া জবানবন্দির পরিপ্রেক্ষিতে আরও তিনজনসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে গ্রেপ্তার জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিনকে চার দিন এবং অপর তিন আসামি রেজাউল করিম সাহাবুদ্দিন, মামুনুর রশীদ ও মেহেদী হাসানকে দুই দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত রোববার মামলার প্রধান আসামি আশিককে মাদারীপুর থেকে র্যাব গ্রেপ্তার করলেও তাঁকে আজ বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কক্সবাজারের তদন্তকারী সংস্থা ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, আশিককে ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২২ ডিসেম্বর বিকেলে স্বামী ও আট মাসের সন্তানকে নিয়ে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে নামেন সৈকতে ভ্রমণে আসা ঢাকার ওই নারী। বালুচর দিয়ে হেঁটে পানির দিকে নামার সময় তাঁর স্বামীর সঙ্গে আশিকের ধাক্কা লাগে। এর জেরে সন্ধ্যায় ওই নারীকে তুলে নিয়ে প্রথমে ঝুপড়ি একটি চায়ের দোকানে এবং পরে কলাতলীর জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন আশিকের নেতৃত্বে কয়েকজন।
পরদিন ২৩ ডিসেম্বর রাতে ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সন্ত্রাসী মো. আশিক (২৮), মো. বাবু (২৫), ইসরাফিল হুদা জয় ( ২৮), রিয়াজ উদ্দিন প্রকাশ ছোটন (৩০), অজ্ঞাতনামা তিনজনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: