পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা করা হবে খুব দ্রুত। এরই মধ্যে চলছে প্রার্থীদের জোরালো লবিং ও তদবীর।
রাজবাড়ি জেলার পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নে নৌকার মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাপ করছেন বহুল বিতর্কিত প্রার্থী আবুল কাশেম সরোয়ার। আওয়ামীলীগের কর্মী হত্যা, ভূমি দখল, চাঁদবাজি ও মাদক ব্যবসার মত গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এলাকার প্রবীণ আওয়ামীলীগাররা ও সাধারণ জনগণ তার বিপক্ষে বিস্তর অভিযোগ তুলে ধরেছে সময় ট্রিবিউনের কাছে।
এলাকার প্রবীণ এক আওয়ামীলীগ নেতা নাম গোপন রাখার শর্তে সময় ট্রিবিউন কে জানান, ১৯৭৪ সালে আবুল কাশেম সরোয়ার জাসদের হয়ে বহু আওয়ামীলীগের কর্মীদের হত্যা করেন। এরপর ১৯৯১ সালে তৎকালীন জামায়েতে ইসলামের প্রার্থী ডাঃ আজাদের পক্ষে নির্বাচন করেন। নৌকার মনোনীত নাসির সাহেবের বিপক্ষে ব্যপকভাবে কাজ করেন।
এরপর ১৯৯৬ সালে জিল্লুর হাকিম নৌকার মনোনয়ন পেলে তার বিপক্ষেও নির্বাচন করেন এই আবুল কাশেম। কিন্তু জিল্লুর হাকিম নির্বাচত হওয়ার পর ভোল পালটে জিল্লুর হাকিমের লোক বনে যান রাতারাতি। শুরু করেন টেন্ডারবাজি, বিচার-শালিসী ও থানায় দালালী।
এরপর ২০০১ এ বিএনপি সরকার গঠন করলে আবার তিনি যোগ দেন বিএনপিতে। বিএনপি থেকেও সুবিধা নেওয়া শুরু করেন।
এরপর ২০০৯ এর পর আবারও ভোল পালটে আওয়ামীলীগের সাথে মিশে গিয়ে শুরু করেন ক্ষমতার অপব্যবহার। নিরীহ লোকদের জমির ভূয়া দলিল তৈরি করে পেশীশক্তির জোরে দখল করে নেন। এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলা এখনও চলমান।
আপাদমস্তক মূর্খ লোক হওয়া সত্বেও তিনি বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতির চেয়ার আঁকড়ে ধরে রয়েছেন। সুজানগর হাই স্কুল কমিটির সভাপতির ক্ষমতা বলে তিনি প্রধান শিক্ষক নিয়োগের নামে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, স্কুলে প্রভাব খাটিয়ে দপ্তরী নিয়োগেও তিনি বাদ যাননি, করেছেন মোটা অংকের বাণিজ্য।
এছারাও সরকারী জমি নিজের নামে দান করে কমিউনিটি ক্লিনিক করার মত হীন অপরাধে তার নাম উঠে এসেছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, সরকারী জমি কিভাবে সে দান করে যেখানে জমির মালিকই না তিনি।
বাবুপাড়া মাদ্রাসার সভাপতিও তিনি। সেখানেও রয়েছে দুর্নীতির বিশাল প্রভাব। শিক্ষক নিয়োগের নাম করে অন্তত ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি যার প্রমাণ সময় ট্রিবিউনের হাতে এসে পৌছেছে।
এছাড়াও বাবুপারা প্রাইমারি স্কুল ও কালী মন্দিরের যায়গা দখল করে বাণিজ্যিক ভবন ও মার্কেট করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এই আবুল কাশেম সরোয়ার।
এ ধরণের বিতর্কিত লোক দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে এলাকাবাসীর দুর্দশার সীমা থাকবেনা বলে জানান অনেকে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: