শুক্রবার ২৬/১০/২০২১ ইং তারিখ দুপুর ৩ টার দিকে ময়মনসিংহে গণঅধিকার পরিষদ এর আনন্দ র্যালীতে পুলিশের উপস্থিতিতে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের উপর ছাত্রলীগ, যুবলীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়, যাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। এছাড়াও হামলাকারীরা কয়েকজনের মোবাইল, মানিব্যাগ ও ১ টি ক্যামেরা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
ময়মনসিংহে নেতা-কর্মীদের উপর এই হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় সন্ধ্যা পৌনে ৭ টায় গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুলহক নুরের নেতৃত্বে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদী মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি পল্টন বিজয়নগর কালভার্ট রোড থেকে শুরু হয়ে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট ঘুরে প্রেসক্লাবে হয়ে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদ এর সদস্য সচিব নুরুলহক নুর বলেন,'দল ও সরকারের উপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। যে কারণে রাজনৈতিক দলসমূহের শান্তিপূর্ণ মিছিল-মিটিংয়ে বাধা না দিতে প্রধানমন্ত্রীর নিষেধ সত্ত্বেও আজ ময়মনসিংহে ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা-কর্মীরা গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের উপর বর্বর হামলা করেছে। এর আগেও গত ১৭ ই নভেম্বর টাঙ্গাইলে ভাসানীর মাজারে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করা হয়। হামলা-মামলা করে তারুণ্যের জাগরণ থামানো যাবে না। তারুণ্যের যে জাগরণ শুরু হয়েছে তা বিনা ভোটের স্বৈরাচার সরকারের পতন না ঘটিয়ে থামবে না। আমরা শেখ হাসিনাকে বলতে চাই, আপনার সামনে দুটো পথ খোলা আছে; একটি হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, আরেকটি হচ্ছে আইয়ুব খান ও এরশাদের মত করুণ পরিণতি বেছে নেয়া। আপনি কোন পথে যাবেন সেটা আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।'
গণঅধিকার পরিষদ এর যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ১ সপ্তাহ আগে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে বললেন, তিনি আইজিপিকে নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন নতুন দলকে যেন বাধা দেয়া না হয়। এক সপ্তাহের মাথায় আজ ময়মনসিংহে গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দের উপর ছাত্রলীগ, যুবলীগ হামলা করেছে। তাহলে বুঝতে হবে এ অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ তার দলের নেতা, পাতিনেতারাও মানে না। যা প্রমাণ করে, সরকার দেশের ১৮ কোটি মানুষের নিরাপত্তা দিতে সক্ষম নয়। তাই, জনগনকে আমরা আহ্বান জানাবো, দেশ ও জাতির নিরাপত্তা নিশ্চিতে গণঅধিকার পরিষদের নেতৃত্বে আপনারা স্বৈরাচার পতনে সংঘঠিত হন।
ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আমরা জানতাম প্রধানমন্ত্রী দেশ চালায় কিন্তু এখন দেখি ছাত্রলীগ, যুবলীগ কেউই তার কথা শুনে না। তাহলে দেশ করা চালায়? প্রধানমন্ত্রী বললেন, নতুন দলকে যেন বাঁধা দেয়া না হয়। কিন্তু প্রতিনিয়ত নতুন দলের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করা হচ্ছে। মোদি বিরোধী আন্দোলনে জেলে গিয়ে, রিমান্ডে গিয়ে বুঝেছি দেশ পরিচালিত হয় অন্য জায়গা থেকে। তাই দেশ রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই। শিক্ষার্থীদের চলমান হাফ পাশ ও নিরাপদ সড়কের দাবি মেনে নিতে হবে, না হলে ছাত্র অধিকার পরিষদ সারা দেশের ছাত্রদের নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: