নোয়াখালীর সুবর্ণচরের শহীদ জয়নাল আবেদীন সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে সিনিয়রদের সামনে জুনিয়রদের সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে তুচ্ছ ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার্থী ও দশম শ্রেণির ছাত্রদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১০জন আহত হয়েছে।
বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে স্কুল গেট সংলগ্ন এলাকায় দফায় দফায় এসএসসি পরীক্ষার্থী ও দশম শ্রেণির ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী মাসুদ মাহমুদ জানান, সকালে দশম শ্রেণির ক্লাস চলাকালীন বিরতির সময় ছাত্রদের মধ্যে সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি মীমাংসা করতে তার সহপাঠীসহ উপজেলা ছাত্রলীগের কয়েকজন শিক্ষার্থী ও স্কুলের শিক্ষক আসেন। কিন্তু দ্বিতীয় শিফটে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ছুটির সময় দশম শ্রেণির ছাত্ররা তাদের উপর লাঠিশোঠা রামদা ও রড় নিয়ে আক্রমণ করেন।
এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক বেলাল হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষকরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। সংঘর্ষে এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রায় ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থী দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী ইলিয়াস বাদশা জানান, সিনিয়রদের সামনে জুনিয়র এক ছাত্র সিগারেট খাচ্ছিল, এসময় তাকে নিষেধ করলে সে সিনিয়র এক ছাত্রকে থাপ্পড় মারে। বিষয়টি উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক জাবেদকে অবহিত করলে তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিবকে পাঠিয়ে শিক্ষকদের সাথে বসে মিমাংসা করে দেন। পরে স্কুল ছুটির সময় জুনিয়র ছাত্ররা এসএসসি পরীক্ষার্থীদের উপর লাঠি শোঠা রামদা ও লোহার রড় নিয়ে হামলা করেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক বেলাল হোসেন বলেন, দশম শ্রেণির ছাত্র রিফাত সিফাত সহ আরো অনেক ছাত্র লাঠি শোঠা নিয়ে ছুটে আসে। তিনি বলেন হামলাকারীদের বাধা দেওয়ার পরেও তারা তাঁর উপস্থিতিতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, পরর্বতীতে সংঘর্ষ বড় হতে থাকলে ইউএনও সহযোগিতায় পুলিশ এনে নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ বিষয়ে শহীদ জয়নাল আবেদীন সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, তুচ্ছ ঘঠনাকে কেন্দ্র করে উদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হয়।
চরজব্বার থানা পুলিশও বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকসহ ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় যারাই জড়িত তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চরজব্বার থানার উপ-পরির্শক উৎপল দেওয়ান বলেন, ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এই ঘটনায় ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: