নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু ছায়েদ ভুঁইয়া রিপনকে (৪৮) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় রাশেদুজ্জামান অন্তর (২২) নামের এক যুবলীগ কর্মী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছে ।
সে বেগমগঞ্জ উপজেলার তালুয়া চাঁদপুর গ্রামের মৃত নূর হোসেন আজগরের ছেলে। অন্তর স্থানীয় যুবলীগ কর্মী বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী। তার আগে গত শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অপরদিকে, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা তালুয়া চাঁদ পুর গ্রামের মৃত সোলাইমানের ছেলে আশিকুর রহমানকে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ ।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুর রহমান রনি গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরও বলেন, সোমবার গ্রেফতারকৃত আসামীকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। পুকুর থেকে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, শনিবার জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এমদাদুল হক ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার দিবাগত গভীর রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের তালুয়া চাাঁদপুর বারিয়াহাট গাছতলা নামক স্থানে আবু ছায়েদ ভুঁইয়া রিপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার সাথে থাকা আড়াই লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। নিহত আবু সায়েদ ভূঁইয়া রিপন (৫০) উপজেলার মিরওয়ারিশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কালুয়া চাঁদপুর গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির মৃত রফিক ভূঁইয়ার ছেলে।
পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সকালে পুলিশ নিহতের বাড়ির সংলগ্ন লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরন করেন। পরবর্তীতে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী পারভীন আক্তার বাদী হয়ে গত শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: