রিং আইডির সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যশোরে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে।
শুক্রবার (২ অক্টোবর) ঝিকরগাছা উপজেলার দিকদানা গ্রামের সুকুমার বিশ্বাসের ছেলে শিমুল কুমার বিশ্বাস এই মামলাটি করেন। এতে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১০-১৫ জনকে।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাসমীম আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কালাইনগর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের দুই ছেলে শরিফুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম, একই এলাকার আমিনুল ইসলামের মেয়ে আইরিন ইসলাম, সিলেট সদর উপজেলার ওয়াপদা গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে সালাহ উদ্দিন, চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে আহসান হাবিব, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর গ্রামের মনির উদ্দিন শেখের ছেলে রফিকুল ইসলাম, হবিগঞ্জ জেলা শহরের ৪ নম্বর পৌর ওয়ার্ডের সাজিদ মিয়ার ছেলে নাজমুল হোসেন। এরা সবাই ঢাকার ধানমন্ডির ৭/এ রোডের সি/৫/এ নম্বর ফ্ল্যাটের ৭৮ নম্বর বাড়িতে রিং আইডির অফিসে কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
বাদীর অভিযোগ, চলতি বছরের ৫ মার্চ বিকেল ৩টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে যশোর শহরের আরবপুর বাজারে তোফাজ্জেলের চা দোকানের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলেন তিনি। এ সময় মোবাইলের স্ক্রিনে রফিকুল ইসলাম নামে একজনের রিং আইডি থেকে পাঠানো একটি বিজ্ঞাপন দেখতে পান।
ওই বিজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রতিদিন ১০০টি বিজ্ঞাপন দেখলে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। একটা আইডি ক্রয় করতে ১৮ হাজার ৫০০ টাকা করে লাগবে। ওই টাকা জমা দিলে ভার্চুয়াল সদস্যপদে একটি রিং আইডি ওয়ালেট পাওয়া যাবে। এভাবে তিনি ১৬টি আইডি ক্রয় করেন। প্রতি সপ্তাহে একবার ওই টাকা ওয়ালেট থেকে উত্তোলন করা যাবে বলে উল্লেখ করা হয়। অথচ এ পর্যন্ত তার সাড়ে ৩ লাখ টাকা জমা হলেও সেই টাকা উত্তোলন করতে পারছে না। পরে রিং আইডি অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন এখন সমস্যা আছে পরে টাকা উত্তোলন করা যাবে। এ পর্যন্ত কোনো টাকা উত্তোলন করতে না পেরে থানায় এ মামলা করেছেন।
ওসি (তদন্ত) বলেন, রিং আইডি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সাত কর্মকর্তার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এখনো কাউকে আটক করা যায়নি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: