নড়াইলে ট্রাক চালক লিয়াকত সিকদার হত্যা মামলার প্রধান আসামি আউড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পালাশ মোল্লা ও বাকি দুই আসামি রুবেল শেখ ও গোপিনাথ ওরফে গোপীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের পর বিচার তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। জেলা পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় মঙ্গলবার গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ট্রাক চালককে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। পরে তাদের দেয়া তথ্যে ভিত্তিতে হত্যায় ব্যবহৃত দুইটি ধারালো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
প্রবীর কুমার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) এজাহারভুক্ত আসামি ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ, রুবেল ও গোপীকে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের নড়াইলে নিয়ে আসা হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে লিয়াকতকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে।
পুলিশ সুপার জানান, মঙ্গলবার আসামিদের নড়াইল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী আল মাসুমের আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করেন। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে চলতি বছরের গত ২৯ আগস্ট স্থানীয় আউড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ মোল্লার নেতৃত্বে নড়াইল সদরে ট্রাক চালক লিয়াকত সিকদারকে কুপিয়ে হত্যা করে আসামিরা। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর আগে এ মামলার নাসিম নামে এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: