কক্সবাজারের চকরিয়া ও মহেশখালী পৌরসভা এবং চার উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) প্রথম ধাপের নির্বাচন চলছে। এরই মধ্যে মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে এবং কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের একটি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি সহিংসতা ও গোলাগুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন।
এর মধ্যে মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ কামাল ও বিদ্রোহী প্রার্থী মোশাররফের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির সময় কয়েক জন গুলিবিদ্ধ হন বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে। পরে আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে আবুল কালাম নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। আজ সকাল ১০টার দিকে এ সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাই আজ দুপুর পৌনে ২টার দিকে নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে, এ ঘটনায় কতজন আহত হয়েছে এ ব্যাপারে তিনি নিশ্চিতভাবে কিছু জানাতে পারেননি। ওই কেন্দ্রে এক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আবারও ভোটগ্রহণ শুরু হয় বলে জানা গেছে।
অপরদিকে, আজ দুপুরে কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের তিলককাটা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে দুপক্ষকে থামাতে পুলিশ গুলি ছোড়ে। এতে আব্দুল হালিম নামের নৌকা প্রতীকের এক এজেন্ট নিহত হন। এ ছাড়া আহত হন আরও চার থেকে পাঁচ জন।
এ ছাড়া আরও জানা যায়, টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল মাদ্রাসা ও উনচিপ্রাং কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগে বিক্ষুব্ধ লোকজন সড়ক অবরোধ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় কেন্দ্রের মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেটসহ প্রিজাইডিং অফিসারকে দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এসে কর্মকর্তাদের উদ্ধার করেন। এরপর রিটার্নিং অফিসার এ দুই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: