আঙ্গুলের ছাপ না মিলায় নিজের ভোট দিতে পারেন নি সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক। তবে দেড়-দুই ঘণ্টা পরে আবারও আতিককে কেন্দ্রে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় রেবতি রেমন উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে ইভিএম মেশিনে আতিকের আঙ্গুলের ছাপ মিলেনি। যার কারণে তিনি ভোটই দিতে পারেন নি।
এদিকে সকালে দক্ষিণ সুরমার কামাল বাজার সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন নৌকার প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমেদ চৌধুরী দাউদিয়া গৌছ উদ্দিন সিনিয়র মাদ্রাসায় ভোট দিয়েছেন।
এর আগে সকাল ৮ টায় সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। একযোগে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। শুরুতে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম ছিলো। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা বাড়তে থাকে। তবে কেন্দ্রগুলোতে পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলার একাংশ নিয়ে সিলেট-৩ আসন গঠিত। এ আসেন মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫২ হাজার। ভোটকেন্দ্র আছে ১৪৯টি। এবার সব কেন্দ্রেই ইভিএমে ভোট নেওয়া হচ্ছে।
সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বলেন, এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। ভোট সুষ্ঠু করতে প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এবং প্রতিটি উপজেলায় একজন করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া প্রত্যক ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য দ্বায়িত্ব পালন করেছে। আর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে অস্ত্রসহ ১৮ থেকে ১৯ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত মোবাইল ফোর্স ২১টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ১২টি, র্যাবের ১২টি টিম ও ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন আছে। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবে। নির্বাচনে ২১ ইউনিয়নে একজন করে এবং মনিটরিংয়ে তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন।
এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রয়েছেন চার প্রার্থী। আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক ছাড়াও স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত নেতা সাবেক সাংসদ শফি আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া।
উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ এ আসনের সরকারদলীয় সাবেক এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: