দুই দফা পেছানোর পর শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সিলেট-৩ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। এদিকে উপনির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব, লাঙল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ও সাবেক সাংসদ শফি আহমেদ চৌধুরী ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া।
ইসি সূত্র জানায়, দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫২ হাজার। তিন উপজেলায় ভোট কেন্দ্র ১৪৯। এদিকে নির্বাচন ঘিরে ভোটের দিন ও পূর্বাপর সব ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে শক্ত অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও নির্বাচন কমিশন।
সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম জানান, বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে ২ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া আসনটির ভোটগ্রহণ উপলক্ষে ৩ জন ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োগ দিয়েছে ইসি। তারা নির্বাচনের আগে দুইদিন, পরের দুইদিন ও নির্বাচনের দিন অর্থাৎ ২ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যু হয়। এরপর ১৫ মার্চ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, গত ১৪ জুলাই এ আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে সে তারিখ পিছিয়ে ২৮ জুলাই ভোটের নতুন তারিখ দেওয়া হয়। কিন্তু সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায়ও পিছিয়ে যায় উপ-নির্বাচন। এরপর এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে গত ৫ আগস্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের একক বিশেষ হাইকোর্ট বেঞ্চ ১০ আগস্টের পর থেকে ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: