বরিশাল নগরীতে ৫২২ কেজি (১৩ মণ ৫ কেজি) ওজনের একটি শাপলাপাতা মাছ ২ লাখ ৬১ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন রুবেল নামের এক মাছ ব্যবসায়ী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর পোর্ট রোড মাছ বাজারে মাছটি কেজি দরে বিক্রি করেন তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার ভোরে মাছটি বিক্রি করতে নগরীর অলিগলিতে মাইকিং করেন মাছ ব্যবসায়ী রুবেল। গতকাল সোমবার মধ্যরাতে নগরী সংলগ্ন তালতলী নদীতে বেদে সম্প্রদায়ের এক জেলের জালে বিশালাকার এই শাপলাপাতা মাছটি ধরা পড়ে।
রুবেল জানান, বিশাল আকৃতির শাপলাপাতা মাছ ধরা পড়ার খবরে তালতলী ঘাটে ছুটে যাই। মাছটি বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করার শর্তে প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা দরে এক লাখ ৮২ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেই।
জেলেদের বরাত দিয়ে রুবেল বলেন, ‘ইলিশ ধরার জন্য বরিশাল শহরের উপকণ্ঠে তালতলী নদীতে জাল ফেলা হয়। নদীর পানি কমতে থাকায় শাপলা পাতা মাছটি জালে ওঠে। মাছটি জাল ও নৌকা টেনে নদীর মধ্যে নিয়ে যেতে থাকে। তবে পানি বেশি না থাকায় ও ভালোভাবে জালে পেঁচানোয় মাছটি ধরা সম্ভব হয়।’
এই মাছ ব্যবসায়ী আরও বলেন, ‘মাছটির ওজন ১৩ মণের মতো হবে। মাছটি বিক্রি করতে মাইকিং করেছি। পোর্টরোড রসুলপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছটি কেটে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।’
দীর্ঘ লকডাউন ও মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন কারণে দুই বছর ধরে মাছ ব্যবসা ভালো চলছিল না। শাপলাপাতা মাছটি বিক্রি করে কিছু ক্ষতি পুষিয়েছে এবং জেলেদের ভাগ্যও খুলে গেছে বলে জানান রুবেল।
বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ‘আঞ্চলিকভাবে শাপলাপাতা মাছ বলা হলেও এটি হচ্ছে স্ট্রিং-রে প্রজাতির মাছ। বৈজ্ঞানিক নাম হিমানটুরাইমব্রিকাটা। এই প্রজাতির মাছ অগভীর সমুদ্রে বেশি পাওয়া যায়। খেতে অনেক সুস্বাদু। আগে সচারচার পাওয়া গেলেও বর্তমানে দুর্লভ হয়ে উঠছে।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: