নরসিংদীতে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৬ সদস্যসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া ৮ টি গরু ও অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) জেলার নতুন বাসস্ট্যান্ড ও কেরানিগঞ্জের সোনাকান্দা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ইনামুল হক সাগর।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, টাঙ্গাইলের মইষা দক্ষিনপাড়া গ্রামের মোঃ সোহরাব আলীর ছেলে মোঃ আব্বাস আলী (৩০), খুলনার নিরালা প্রত্যাশা গ্রামের মৃত বুইদায়ের ছেলে মোঃ মামুন মিয়া (৩৫), টাঙ্গাইলের গোরায় খামারপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেক ড্রাইভারের ছেলে মোঃ মঞ্জু মিয়া ওরফে রুবেল মিয়া (৩২), খুলনার ভান্ডারকোট গ্রামের মোর্শেদ শেখের ছেলে মোঃ ইউসুফ শেখ (৩০), গ্রেফতারকৃত এই ৪ জন বর্তমানে আশুলিয়ার কলতাসূতি নয়াবাড়ি এলাকার জসিম মিয়ার ভাড়া বাসা থাকে। বাকীরা হলেন, টাঙ্গাইলের বাসাইল গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে মোঃ খোকন মিয়া (৩৪). যোশরের কপালিয়া মোল্লাবাড়ী গ্রামের বাবর আলী মোল্লার ছেলে মোঃ আরিফুল ইসলাম এবং কেরানিগঞ্জের সোনাকান্দা গ্রামের ভাই ভাই ডেইরী ফার্মের মালিক জহিরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নরসিংদী মডেল থানাধীন শালিধা নতুন বাসষ্ট্যান্ড মুক্তি চত্বর মোড়ের কাছে বাগানের ভিতর একদল ডাকাত ডাকাতির উদ্দেশ্যে মাহিন্দ্র গাড়ীসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহেদ আহমেদ ও পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ আবুল বাসার পিপিএম (বার) এর নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে।
এদিকে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে একটি মাহিন্দ্র গাড়ীসহ ডাকাত দলের সদস্যরা পালালোর সময় ৬ জনকে আটক করে। বাকীরা পালিয়ে যায়।
আটককৃত ডাকাতদলের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, গত ৯ আগস্ট রাতে ঘোড়াশাল বাগদী এলাকায় একটি গরুর ফার্ম থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে সিকিউরিটি গার্ডদের হাত পা বেঁধে ৯টি গরু ডাকাতি করে নিয়ে যায় তারা। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে কেরানীগঞ্জে সোনাকান্দা এলাকার ভাই ভাই ডেইরী ফার্মে। সেখান থেকে ঘোড়াশালে ডাকাতি হওয়া ৯টি গরুর মধ্যে ৮টি গরু উদ্ধার করা হয়। এসময় ভাই ভাই ডেইরী ফার্ম এর মালিক জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে, ১টি লোহার তৈরি ওয়ান শুটার গান, ১টি ছড়রা গুলির কার্তুজ, ৮টি গরু, ১টি সুইচ গিয়ার, প্লাষ্টিকের হাতল সহ লোহার রড, ১টি কোড়াবাড়ি হাতুরী, ১টি প্লাষ্টিকের বাঁশি ও কালো-কমলা রংয়ের ফুজি গ্রেন্ডার মেশিন, সাদা রংয়ের প্লাষ্টিকের রশি, ১টি হেক্সো ব্লেড, ১টি হুইল রেঞ্জ, ১টি ক্যাবল কাটার, ১টি টেষ্টার এবং ১টি মাহিন্দ্র গাড়ী।
এ ব্যাপারে নরসিংদী মডেল থানায় ডাকাতি প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: