কুষ্টিয়ায় শ্যালিকার নগ্ন ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার অভিযোগে দুলাভাইকে আটক করেছে পুলিশ। শ্যালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে ওই দুলাভাই। এরপর নগ্ন ভিডিওটি ফেসবুকে ছাড়েন দুলাভাই। পরে শাশুড়ির করা লিখিত অভিযোগে দুলাভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার (৩০ জুলাই) দুপুরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়ন পরিষদের পেছনের বাদশার বাড়ি থেকে লম্পট দুলাভাই আবদুর রাজ্জাককে আটক করা হয়। ৩৮ বছর বয়সী এ যুবক একই ইউনিয়নের বাগবাড়িয়া গ্রামের আবদুরর সাত্তারের ছেলে।
ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, আট বছর আগে ওই কিশোরীর বড় বোনের সঙ্গে রাজ্জাকের বিয়ে হয়। তাদের চার বছরের এক ছেলে রয়েছে। বনিবনা না হওয়ায় চলতি বছরের ২৩ জুন স্বামীকে তালাক দেন স্ত্রী। এতে ক্ষুব্ধ হন রাজ্জাক। এরই জেরে ৮ জুলাই সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া শ্যালিকাকে তুলে নিয়ে আত্মগোপন করেন তিনি। মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ১২ জুলাই কুমারখালী থানায় জিডি করেন ভুক্তভোগীর মা।
এরপর স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ। ২৮ জুলাই নিজের ফেসবুক আইডিতে শ্যালিকার তিন মিনিটের নগ্ন ভিডিও ছাড়েন দুলাভাই আবদুর রাজ্জাক। এরপর শুক্রবার দুপুরে পান্টি ইউনিয়ন পরিষদের পেছনের ভাড়া বাসা থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধারসহ রাজ্জাককে আটক করে পুলিশ।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, রাজ্জাক বখাটে ছেলে। মাদকসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় তাকে তালাক দেন বড় মেয়ে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ৮ জুলাই ছোট মেয়েকে তুলে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এরপর ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকে ছাড়েন।
কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও ফেসবুকে নগ্ন ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে রাজ্জাককে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: