বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে বৃষ্টিতে বাগেরহাটের ১৭ হাজারের অধিক মৎস্য ঘেরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জেলা মৎস্য বিভাগের প্রাথমিক হিসাবে চাষিদের প্রায় ১১ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে।চাষিদের ১১ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। অবকাঠামোরও ক্ষতি হয়েছে ৫৭ লাখ টাকার। সব মিলিয়ে টাকার অংকে চাষিদের ১০ কোটি ৯৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি বলে দাবি চিংড়ি চাষিদের।
বাগেরহাট মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন উপজেলার ১৭ হাজার ৩৭৫ মৎস্য ঘের ও পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৭ হাজার ৪৩৪ পুকুর, ৯ হাজার ৬৬৪ ঘের এবং ২৭৫ কাঁকড়া-কুচিয়ার খামার রয়েছে। ফলে চাষিদের দুই কোটি ৫১ লাখ টাকার সাদা মাছ, সাত কোটি ১৫ লাখ টাকার চিংড়ি মাছ এবং ২৪ লাখ টাকার কাঁকড়া-কুচিয়া ভেসে গেছে।
গত মঙ্গলবার সকাল থেকে টানা বর্ষণে পানি বৃদ্ধির ফলে এই ক্ষতি হয়। মৎস্য বিভাগ ও চাষিরা বলছেন, বৃষ্টি ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত ঘের ও ক্ষতির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বিকেলে বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, দুই দিনের অবিরাম বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বাগেরহাটের সদর, কচুয়া, রামপাল, মোংলা, মোড়েলগঞ্জ, ফকিরহাট, শরনখোলা, উপজেলার কয়েকহাজার চিংড়ি ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মৎস্য বিভাগ ও চাষীরা বলছেন, একদিকে বিরামহীন বৃষ্টি তারপরে আবার জোয়ারের পানি। কতক্ষণ আর ঠিক থাকবে। আমার ঘের তলিয়ে সব শেষ হয়ে গেছে। সামনের দিনগুলো কীভাবে চলবো মাথায় আসছে না?একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে চিংড়ি চাষিরা ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি হারিয়ে ফেলছি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: