ফরিদপুরে একটি জলাধারে কুমির এসে আটকা পড়েছে। সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ৩৮ দাগ এলাকার সালাম খাঁর ডাঙ্গী চরের জলাধারে কুমিরটি দেখা যাচ্ছে।
ঘটনাটি দেখার পর থেকে ওই এলাকায় মাইকিং করে সর্বসাধারণকে ওই জলাশয়ে না নামার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
জানা গেছে, সালাম খাঁর ডাঙ্গী চরে আনুমানিক তিনশ ফুট দৈর্ঘ্য ও দুইশ ফুট প্রস্থ একটি জলাধার রয়েছে। ওই জলাধারে কুমিরটি এসে আটকা পড়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, রোববার সালাম খাঁর ডাঙ্গী গ্রামের জেলে হজরত মিয়া (৩৫) পদ্মা নদী থেকে আনুমানিক চার কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ ধরেন। মাছটি তাজা রাখার জন্য মাছের মুখে দড়ি বেঁধে জলাশয়ের মধ্যে রাখেন। কিছুক্ষণ পর তিনি মাছটি তুলে আনার জন্য দড়ি ধরে টান দিলে কুমিরটি দেখতে পান।
এলাকাবাসী জানায়, পদ্মা নদী থেকে একটি সরু চ্যানেল ওই জলাধারের কাছে গেছে। এর মধ্যে নদীতে পানি কমে যাওয়ায় চ্যানেলের পানি শুকিয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি মেছো কুমির। কোনো মাছ তাড়া করতে করতে কুমিরটি জলাধারে এসে আটকা পড়েছে। কুমিরটি দেখার পর ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় পুরাতন মোহন মিয়া হাট জামে মসজিদ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। ওই জলাধারে যাতে কেউ না নামেন সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে এলাকাবাসীকে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান বলেন, কুমিরটির আনুমানিক দৈর্ঘ্য পাঁচ ফুট হবে। কুমিরটি দেখার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে বন বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ফরিদপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান বলেন, যে জলাধারে কুমিরটি অবস্থান করছে সেটি ১৫ থেকে ২০ ফুট গভীর। সেখান থেকে কুমিরটি ধরা কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
তিনি বলেন, যে চ্যানেল দিয়ে কুমিরটি ওই জলাধারে ঢুকেছে সেই চ্যানেলের মুখে হাঁস-মুরগি বেঁধে রেখে কুমিরকে প্রলুব্ধ করে বের করে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে এ উদ্যোগ সফল না হলে বিষয়টি বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা কার্যালয়কে জানানো হবে। যাতে কুমিরটি জলাধার থেকে সরিয়ে বড় কোনো নদীতে ছেড়ে দেওয়া যায়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: