ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাড়ির পথে যাত্রা এরই মধ্যে শুরু হয়েছে৷ সরকার কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ‘লকডাউন’ শিথিল করলেও দিয়েছে কিছু বাধ্যবাধকতা। শিথিল ‘লকডাউনে’র প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে বিভিন্ন বাস ও বাস কাউন্টারে। তবে তাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা দেখা যায়নি।
পরিবহন চলাচলে দুই সিটে এক যাত্রী নেওয়ার বিধি দেওয়া হলেও দুই সিটেই গাদাগাদি করে নেওয়া হচ্ছে যাত্রী। তবে একেকজনকে গুণতে হচ্ছে দুই সিটেরই ভাড়াই।
এখানেই শেষ নয়, পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র তিনদিন বাকি। ইতোমধ্যে ঈদকে সামনে রেখে বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে সরকার, চালু হয়েছে সব ধরনের গণপরিবহন। এরপরও রাজধানীর গাবতলীর বাস কাউন্টারগুলোতে ঘরমুখো যাত্রীদের তেমন ভিড় নেই। অন্যান্য বছর ঈদের আগে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় থাকলেও এবার সেই দৃশ্য পাল্টে গেছে। আবার যাত্রীর চাপ কম থাকলেও কাউন্টারগুলোতে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছেন তারা। এই সুযোগে যাত্রীদের কাছে সরকারি নির্ধারিত ভাড়ার চাইতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
কে লাইন পরিবহনের কাউন্টারের দায়িত্বরত মানিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবাই প্রতি সিটের টিকিট বিক্রি করছে, আমরাও করছি।’ মালিকের নির্দেশে এটি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ঢাকা-মাদারীপুর লাইনের সাদিক পরিবহন কাউন্টারে দায়িত্বরত মিজানুর রহমান বলেন, ‘সকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২০ জন করে যাত্রী নিয়ে পাঁচটি গাড়ি ছাড়া হয়েছে। বিকেলে আরও তিনটি গাড়ি যাবে। যাত্রীর চাপ বেশি থাকলে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’ সাধারণ সময়ে তাদের সিঙ্গেল সিটের ভাড়া ৩৮৫ টাকা হলেও সরকারি বিধি মোতাবেক সেটি ডাবল সিটে ৫৭০ টাকা নেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
বরিশাল-পটুয়াখালী রুটের সুবর্ণ পরিবহনের কাউন্টারের নাজির হোসেন বলেন, ‘সরকারি বিধি মোতাবেক ৪০ সিটের গাড়িতে ২০ জন করে নিয়ে গাড়ি ছাড়লেও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। গাড়ি ছাড়ার সময় হওয়ায় সিট খালি রেখে গাড়ি ছাড়তে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সাধারণ সময়েও এর চাইতে যাত্রীর চাপ বেশি থাকে। ঈদের একদিন পর লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় মানুষ বাড়ি যাচ্ছে না। বাকি দিনগুলো যাত্রী চাপ বাড়বে এই আশায় রয়েছি।’
পরিবার নিয়ে ঝিনাইদা যাচ্ছিলেন সেনাসদস্য জাহিদ ও তার পরিবার। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ডাবল ভাড়ার বেশি দিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে চুয়াডাঙ্গা যাচ্ছি। বেশি ভাড়া দিলেও নির্ধারিত সময়ে গাড়ি আসছে না। এ কারণে গাবতলীতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অপেক্ষা করছি।’
যশোর যেতে গত ১৫ জুলাই অগ্রিম টিকিট কিনেছেন শিক্ষার্থী গালিব। জানান, সাধারণ সময়ে ৪৮০ টাকা ভাড়া হলেও সেটি ৮৫০ টাকা নেয়া হয়েছে। বাড়িতে গিয়ে সবার সঙ্গে ঈদ করবেন এ কারণে বাড়তি ভাড়া দিয়ে টিকিট নিয়েছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: