বান্দরবানের আলীকদমের তৈন রেঞ্জের আওতাধীন এলাকায় হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও ব্যক্তিদের মাঝে আর্থিক ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করলেন লামা বনভিাগ। আজ বুধবার (৩০ জুন ) সাড়ে ১১ টায় উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চেক বিতরণ করা হয়।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, ক্ষতিগ্রস্থ ২৫ ব্যক্তি ও পরিবারকে ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে ও নিহত দুই ব্যক্তিকে ৩ লক্ষ করে ৬ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে জানান তৈঞ্জ কর্মকর্তা।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার সায়েদ ইকবালের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলীকদম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন লামা বনবিভাগের সহকারী বন কর্মকর্তা খন্দকার মো. গিয়াজ উদ্দিন, আলীকদম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন, চৈক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌস রহমান, রৈঞ্জ কর্মকর্তা জহির উদ্দিন মিনার চৌধুরী ও বিভিন্ন বন কর্মকতার্সহ ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি ও পরিবার।
আলীকদম উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. সায়েদ ইকবাল সভাপতির বক্তব্যে বলেন, দিন দিন মানুষ পাহাড়ে আবাসস্থল করছে, ফলে অসংখ্য ফলজ গাছ কাটা হচ্ছে ও হাতিসহ বন্যপ্রাণীর আবাস স্থল ধ্বংস হচ্ছে। তাতে করে পাহাড়ের বসবাসরত প্রাণীরা খাদ্য সংকটে পড়ছে। তাই বাধ্য হয়ে লোকালয়ে আসলেও হাতি কাউকে স্বেচ্ছায় আক্রমণ করেনা। তাই হাতির চলার পথে বাধা দেবেন না। আমরা আগামীতে বন্যপ্রাণী যে সময়টাতে লোকালয়ে আসে সে সময়টাতে আরও বেশী প্রচারণা ব্যবস্থা করব যাতে কেউ বন্যপ্রাণীকে আক্রমণ বা চলার পথে বাধা সৃষ্টি না করে। পাশাপাশি উপস্থিত সবাইকে বর্ষা মৌসুমে বেশী বেশী গাছ রোপন করার পরার্মশ দেন।
গত ২৩ জানুয়ারী মধ্যরাতে হাতি লোকালয়ে চলে আসলে হাতির চলার পথে বাধা ও হাতির গায়ে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করলে হাতির আক্রমণে হুমায়ন কবির ও মনসুর আলম নিহত হন। এছাড়াও অনেকে আহত হয় ও অনেকের ঘরবাড়ী ভেঙ্গে দেয় বন্য হাতি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: