জামালপুর সদর উপজেলার কামাল খান হাট ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার সভাপতি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে মাদ্রাসার গভর্নিংবডির সদস্য পদ থেকে একসাথে ৮ জন সদস্য পদত্যাগ করেছেন। একই সঙ্গে সভাপতির পদত্যাগ দাবি করে পুনরায় নতুন সভাপতি নির্বাচনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে পদত্যাগী সদস্যরা সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে গত ২৭ মার্চ জামালপুর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন গভর্নিংবডির ঐ ৮ জন সদস্য। গভর্নিংবডির ৮ সদস্যের স্বাক্ষরিত পদত্যাগপত্রে বলা হয়েছে, আমরা মাদ্রাসার গবর্নিংবডির সদস্য। আপনার মাদ্রাসার কার্যক্রম পরিচালনায় আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে বিভিন্ন বিষয়য়ে একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে আমরা গভর্নিংবডির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি নিচ্ছি।
মাদ্রাসার গভর্নিংবডির সদস্য সূত্রে জানা গেছে, ঐতিহ্যবাহী কামালখানহাট ফাজিল মাদ্রাসার ২০২২ সালের মে মাসে গঠিত সভাপতি আবদুর রাজ্জাক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অনিয়ম-দুর্নীতির ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে মাদ্রাসার বিভিন্ন কাজকর্ম করে যাচ্ছেন। বেশির ভাগ গুরুত্বপূর্ণ কাজ সদস্যদের থেকে পরামর্শ না নিয়ে নিজেই একক সিদ্ধান্তে করে থাকেন।
২০২২ ইং সালে ও সর্বশেষ ২০২৩ ইং সালের মার্চ মাসের মাঝামাঝি'র দুই বিজ্ঞপ্তিতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারিসহ বিভিন্ন পদে ৬ জন জনবল নিয়োগের কার্যক্রম চলে। এর মধ্যে ২০২৩ সালের নিয়োগে গভর্নিংবডির সদস্যদের জানানো হয়নি। এছাড়া ২০২৪ সালের নিয়োগেও বেশির ভাগ সদস্যদের না জানিয়ে সভাপতি ও অধ্যক্ষ মিলে লোকবল নেয়ার পায়তারা করছে। শুধু তারা আমাদের সই-স্বাক্ষর ব্যবহার করছে কোন মতামত নেয়না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদস্যরা বলেন, মাদ্রাসার কার্যক্রম পরিচালনায় আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে বিভিন্ন বিষয়ে তারা দুইজনে ও তাদের কোরামে দুই একজনের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। সেজন্য আমরা গভর্নিংবডির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। সভাপতিকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন সভাপতি নির্বাচনের দাবি জানাই। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বলেন, আমি নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছি। এখনও সব কিছুর বিষয়ে বুঝে উঠতে পারিনি। এবিষয়ে অভিযুক্ত সভাপতি আবদুর রাজ্জাক এর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মাদ্রাসাটির উন্নয়নে আমি কাজ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু এলাকার কিছু লোকের জন্য তা পারছিনা। তিনি গভর্নিংবডির সদস্যদের অভিযোগ অহেতুক বলে মনে করছেন।
জামালপুর সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বলেন, পদত্যাগপত্রের অনুলিপি জমা পেয়েছি। যেহেতু এটা আরবী বিশ্ব বিদ্যালয়ের বিষয়। তাই এব্যাপারে আমরা কোন ব্যবস্থা নিতে পারবো না।
জনপ্রিয় খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: