পূর্ব শত্রুতার জেরেই গাইবান্ধা সদর থানার পলাতক আসামি শাহিন মিয়া গত শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় ফোন করে শফিকুর রহমান পাভেলকে তার নিজ বাড়িতে ডেকে নেন। সেখানে আগে থেকে হত্যার পরিকল্পনাকারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হত্যার জন্য প্রস্তুত ছিল। এরপর আসামিরা পাভেলকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দেশীয় অস্ত্র দা দিয়ে পাভেলের মাথায়, পায়ে এবং গোড়ালিতে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. ইবনে মিজান।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান বলেন, 'হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতর পাভেলের মরদেহ লুকিয়ে রাখে।
তিনি আরও বলেন, নিখোঁজের তিনদিন পর গতকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে পাভেলের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো দা উদ্ধার করা হয়। আসামিরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
এছাড়া হত্যাকাণ্ডের ইন্ধনদাতাদের নাম ঠিকানাও বলেছে। আজ বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই রাসেল বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন-গাইবান্ধা সদর উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকার মৃত মন্টু মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান হাবি (৪৪), জবিউল ইসলামের ছেলে সুজন মিয়া (৩৬) ও শাহ আলমের স্ত্রী অমেলা বেগম (৪২)।
এর আগে, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে নিখোঁজের তিনদিন পর সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের রঘুনাথপুর এলাকা থেকে পাভেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শরিফুল ইসলাম পাভেল বল্লমঝাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ আকন্দের ছোট ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. ইব্রাহিম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুদ রানা, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেরাজুল হক, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. তারিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রিয় খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: