অবৈধ যানবাহন , মফস্বল শহর থেকে গ্রামের রাস্তায় অলি গলি ছড়িয়ে গেছে এই বাহন। বর্তমানে বহু বছর ধরে নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক,রিকশা, নসিমন, করিমন, ও মাহিন্দ্রা সারাদেশই সয়লাব।এসব চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার নিষিদ্ধ এসব যান বন্ধ করার কথা বলা হলেও বাস্তবে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। বরং দিন দিন এসব যানের সংখ্যা বাড়ছেই। বাড়ছে দুর্ঘটনা, প্রাণহানি। সাথে পরিবহন সেক্টরের বিশৃঙ্খলাতো আছেই।
২০১৭ সালে যখন আইন করে মহাসড়কে এসব যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তখন এই সংখ্যা ছিল এর অর্ধেকেরও কম। আইন করার পর হাইকোর্টও এক আদেশে এসব যান চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পুলিশকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো নিষেধাজ্ঞাই কার্যকর হয়নি। সিন্ডিকেটের কারণে বরাবরই ভেস্তে গেছে সরকারের উদ্যোগ।
প্রতিটি রিকশা বা ইজিবাইকের জন্য টোকেন সংগ্রহ করতে হয় চালকদের। প্রভাবশালীরা এই টোকেন বাণিজ্য করছে। নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের চাপে মাদারিপুর এখন যানজটের শহর । যত্রতত্র পার্কিং, ট্রাফিক আইন ভঙ্গ,নেই ব্রেক লাইট, সড়কে অপরিকল্পিত উন্নয়ন কাজ ও বেপরোয়া দখলবাজির কারণে যানজট বাড়ছে।
এদিকে মাদারিপুর শহরে মাটি, ইট ও বালু বহনের কারণে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা সড়কগুলোর কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বেড়েছে জনদুর্ভোগ। ভাঙ্গাচোরা রাস্তায় অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করছে এসব যানবাহন । কোন প্রশিক্ষণ ছাড়াই বেপরোয়া গতিতে এসব যান চালাচ্ছে চালকরা। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ যানবাহন নিয়ে বর্তমানে শঙ্কিত জনসাধারণ। শহর জুড়ে নিয়ন্ত্রণহীন আরো চলাচল করছে অসংখ্য ব্যাটারি চালিত রিকশা। অবৈধভাবে শহর চলাচলরত করছে মানছে না কোন ট্রাফিক আইন। এছাড়া এ যান দ্রত গতিতে চলায় চালকরা নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় বাড়ছে দুর্ঘটনা । ফলে সহজে উল্টে যায়। এতে যেমন তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি প্রায়শই নানা দুর্ঘটনা ঘটছে। এলাকা বাসীর অভিযোগ,মাহিন্দ্রা, নসিমন, করিমন , ইজিবাইক ও ব্যাটারি চালিত রিকশার কারনে পরিবার নিয়ে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে।
এসব হেলপার সহকারী হিসেবে কিছুদিন কাজ করতে না করতেই চালক বনে যান। চালকেরাও আনাড়ি সহকারীর হাতে তুলে দিচ্ছেন চাবি। গাড়ির মালিকেরাও বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামান না। তাঁরা একটুও ভাবেন না, এসব আনাড়ি লোকজনের হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেওয়ার পরিণতি কী হতে পারে? এসব সহকারীর না আছে গাড়ি চালানোর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, না আছে ড্রাইভিং লাইসেন্স।
স্থানীয়রা জানান, মাদারীপুরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে প্রতিনিয়ত অবৈধ যানবাহন চলাচল করে। গ্রামের রাস্তায় বিকট শব্দ ও গতি নিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। এসব অবৈধ যানবাহনের দুর্ঘটনায় প্রায়ই লোকজন মারা যাচ্ছেন।
এই বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ আফরোজ বলেন অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে।অবৈধ যানবাহনকে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান জানান, অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।বিভিন্ন অবৈধ যানবাহন আটক করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের সচেতনতাও করা হচ্ছে।আমরা এসব যানবাহন বন্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছি।
জনপ্রিয় খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: