আনন্দঘন পরিবেশে পাবনার চাটমোহরে অনুষ্ঠিত হলো ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার সপ্তম আসরের ফাইনাল খেলা।
রোববার (০৩ মার্চ) রাতে চাটমোহর বালুচর খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ন ফাইনাল খেলায় র্যাংকিং গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১। এই দলের শুভ-অহিদুল জুটি ২-০ সেটে টিম আর স্কয়ারের সোয়াদ-ঝুমার জুটিকে পরাজিত করে।
নন র্যাংকিং গ্রুপে সিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অন্তর-মোহন জুটি ২-১ সেটে কুষ্টিয়া ব্যাডমিন্টন একাডেমির তোহা-সৌখিন জুটিতে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। এছাড়া মিশ্র দ্বৈতে সোয়াদ-উর্মি জুটি ২-০ সেটে ঝুমার-স্মৃতি জুটিতে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। খেলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনায়েন রাসেল, চাটমোহর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরা, বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের কোচ সারওয়ার আলম, চাটমোহর পৌরসভার কাউন্সিলর নুর ই হাসান খান ময়না, চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোকলেছুর রহমান বিদ্যুৎ, সাধারণ সম্পাদক শেখ জিয়ারুল হক সিন্টু, হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন, অরবিটল লিংক স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ মতিন, চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. ফরহাদ পারভেজ লিখন, ডা. আসিফ উদ্দিন খান, আমেরিকা প্রবাসী সাজেদুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম রবি, রফিকুল আজিজ আরজু, সাইদ উল ইসলাম কাফি, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অলোক কুমার কুন্ডু, ক্রীড়া সংগঠক আব্দুস সালাম সরকার, চাটমোহর প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক রকিবুর রহমান টুকুন, আব্দুল বারী গুরু, দ্য রিয়েল জীমের সত্ত্বাধিকারি তৌহিদুল ইসলাম তাইজুল প্রমুখ।
চাটমোহর ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমির আয়োজনে গত শুক্রবার (০১ মার্চ) রাতে উদ্বোধন করা হয় ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা। টুর্নামেন্টে বিভিন্ন জেলার ২০টি দল অংশ নেয়। খেলায় প্রধান পরিচালক ছিলেন নুরুল ইসলাম নুরু। খেলার ধারা বর্ণনায় ছিলেন আরমান হোসেন। খেলা উপভোগ করতে মাঠে বিভিন্ন বয়সী হাজারো নারী-পুরুষ দর্শকের সমাগম ঘটে।
প্রতিযোগিতার আয়োজক কমিটির পক্ষে তৌহিদুল ইসলাম তাইজুল বলেন, ‘আউটডোর ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট আয়োজন করা খুবই কষ্টসাধ্য বিষয়। চাটমোহরে অনেক গুণী ও প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের বসবাস। ব্যাডমিন্টন খেলায় তাদের অনেক আগ্রহ। কিন্তুব্যাডমিন্টন ইনডোর না থাকার কারণে আব্দুস সোয়াদের মতো খেলোয়াড় তৈরি হচ্ছে না। আমাদের একটি ব্যাডমিন্টন ইনডোর হলে আরো খেলোয়াড় তৈরি হবে।’
বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের কোচ সারওয়ার আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা বিশ্বে সর্বোচ্চ লেভেলের মেধাবী। কিন্তু দেশে সঠিক কোচ ও পরিচর্যা না থাকাতে তাদের মেধার বিকাশ হচ্ছে না। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিযোগিতা করতে তাদের সঠিক প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজন অত্যন্ত মেধাবী, শিক্ষিত এবং আধুনিক কোচ। পাশাপাশি দরকার ইনডোর।’
জাতীয় চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড় আব্দুস সোয়াদ বলেন, ‘স্কুল পর্যায়ে ভাল খেলতে গিয়ে ইনডোরে অনুশীলন শুরু করি। সেখান থেকেই জাতীয় পর্যায়ে খেলা শুরু। তারপর ধীরে ধীরে আমি আজকের পর্যায়ে। চাটমোহরে অনেক মেধাবী খেলোয়াড় আছে, সুযোগের অভাবে তারা উঠে আসতে পারছে না। আশা করছি আগামীতে এখানে একটি ইনডোর হলে প্রতিভাবান খেলোয়াড় উঠে আসবে।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: