নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার নিভূত পল্লী হাতি-মন্ডলা গ্রামে মুঘল আমলের শেষের দিকের পুরাতন এক মসজিদ এর সন্ধান মিলেছে। বর্তমানে এ মসজিদটি এক নজর দেখতে সেখানে শত শত মানুষ-জন ভীড় করছেন। তাদের ভীড়ে এলাকায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ঐ গ্রাম এলাকা। এরি মাঝে কেউ একটি কুরআন মাজিদ তার পার্শ্বে রেখে দেন, যেটা সে সময়ের বলে মনে করছেন কেউ কেউ। তবে এ মসজিদ টি মুঘল আমলের শেষের দিকে তৈরি করা হয়েছিল এবং সেখানে প্রাপ্ত কুরআন মাজিদ সম্প্রতি সময়ের বলে নিশ্চিত করেছেন নওগাঁর ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের কাস্টডিয়ান মোঃ ফজলুল করিম।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, এ পুরাকীর্তি মসজিদটি সন্ধান পাওয়ার আগে এখানে দীর্ঘদিন ধরে নানা ঝোপ-জঙ্গলে বেষ্টিত হয়ে অযত্ন অবহেলায় অরক্ষিত হয়ে পড়ে ছিলো। বর্তমানে এর আশেপাশের জমি কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। বর্তমান কবর স্থানটি সংস্কারের জন্য বন-জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করতে গেলে এটি মসজিদ বলে জানতে পারে স্থানীয়রা। বর্তমানে এটি ভেঙ্গে গেছে তার পার্শ্বে পড়ে আছে সেই মসজিদ এর একটি গুম্ভজ। এর পার্শ্বে একটি স্তম্ভ ভাঙ্গা ভাঙ্গা অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। এছাড়াও ঐ গ্রামে একই সাদৃশ্য আরো দু'টি পুরাকৃর্তীর নিদর্শন দেখা গেছে। বর্তমানে সন্ধান পাওয়া এ মসজিদের নতুন নামকরণ করা হয়েছে "আলনূর জামে মসজিদ"। স্থানীয়দের পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি উঠেছে নতুনভাবে সদ্য আবিষ্কৃত সর্ব প্রাচীন এ মসজিদের।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আলম বলেন, আমি এই জায়গা পরিষ্কার করতে গেলে ভেঙে যাওয়া ওই মসজিদের ধারে একটি কুরআন শরীফ পাই। এটি কোন সময়ের তা আমার জানা নেই। সেই কুরআন শরীফটি সেখানে রেখে দিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের কাস্টডিয়ান মোঃ ফজলুল করিম বলেন, স্থাপনাটির কারুকাজ, ইটের গাঁথুনি, ইটের সাইজ, নকশা ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য দেখে এটিকে মোগল আমলের শেষ দিকের স্থাপনা বলে মনে হয়। তবে স্থাপনাটির ভিতরে রেখে যাওয়া কোরআন শরীফটি অতি সম্প্রতি কালের ছাপানো বলেই মনে হয়। বিদ্যমান স্থাপনাটির দক্ষিণে ভেঙে যাওয়া স্থাপনাটি সম্ভবত মসজিদ ছিল। যার উপরের গম্বুজটি ভেঙে নিচে পড়ে আছে।
জনপ্রিয় খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: