নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী মোস্তাফিজুর রহমানকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁ’র বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আবু শামীম আজাদ এই রায় প্রদান করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল খালেক।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত মোস্তাফিজুর রহমান পোরশা উপজেলাধীন শাহ পুকুর দিঘীপাড়া গ্রামের আকবর আরীর ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার পূর্বগ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে ফাতেমা বেগমের সাথে মোস্তাফিজুর রহমানের বিয়ে হয়। তাদের বিবাহিত জীবনে একটি মেয়ে সন্তান ও একটি ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। জীবিকা নির্বাহের তাগিদে মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী ফাতেমা বেগুমকে নিয়ে কুমিল্লা গিয়ে বসবাস শুরু করেন। সেখানে বসবাসকালে দাম্পত্য জীবনে কলহ শুরু হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে তার স্বামী গ্রামের বাড়িতে তার বাবা-মার কাছে রেখে যায়। পরবর্তীতে সে বাড়িতে বেড়াতে আসলে ২০২২ সালের ১২ জুন সকাল ৭টার দিকে স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে গলা টিপে হত্যা করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানে বাঁশের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা চালায়।
সংবাদ পেয়ে ফাতেমার বাবা রবিউল ইসলাম ঘটনার দিনই জামাই মোস্তাফিজুর রহমানকে একমাত্র আসামী করে পোরশা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে চার্জশটি দাখিল করে। অভিযোগে উল্লেখিত ১৮ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন স্বাক্ষীকে আদালতে হাজির করে স্বাক্ষ গ্রহণ করা হয়। শুনানী শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মোস্তাফিজুর রহমানকে সম্মুখেই হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক মৃত্যুদন্ড বহাল রাখা সাপেক্ষে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসীতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার নির্দেশ প্রদান করেন।
জনপ্রিয় খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: