আগামীকাল সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা। শেষ মুহূর্তে রং-তুলির আঁচড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন টাঙ্গাইলের প্রতিমা শিল্পীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাটির কাজ শেষ করে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন রং তুলির কাজে।রাত দিন কাজ করছেন প্রতিমা শিল্পীরা।দম ফেলার ফুসরত নেই তাদের।আকার-আকৃতি ভেদে এসব প্রতিমা সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
জানা যায়, হিন্দু শাস্ত্র মতে, বিদ্যার দেবী সরস্বতী। সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা দেবীর আশীর্বাদ লাভের আশায় প্রতিবছর পঞ্জিকা মতে মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী দেবীর পূজা করে থাকেন। এই পূজা উপলক্ষ্যে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে বাড়িতে নির্মাণ করা হয়েছে অস্থায়ী মন্দির। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূজা উদ্যাপনের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলছে উৎসাহ উদ্দীপনা।
শুভ সরকার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, দেবীর কাছে বিদ্যা, দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করবো।প্রতিবছর বিদ্যার জন্য দেবীর কাছে প্রার্থনা করি।প্রতি বছর আমাদের বাড়িতে দেবীর পূজা করা হয়।
কলেজ পড়ুয়া ইতি সরকার বলেন, প্রতিবছর এই দিনটার জন্য আমরা অপেক্ষা করে থাকি।বিদ্যা দেবীর কাছে বিদ্যার জন্য প্রার্থণা করি।সরস্বতী দেবী হচ্ছে আমাদের বিদ্যার দেবী।
প্রতিমা শিল্পী দিলিপ পাল বলেন, এবছর ৩২ টি সরস্বতীর প্রতিমা তৈরি করছি।আকার বেদে ৫০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে বিক্রি করবো।প্রতিমা তৈরিতে খড়, কাঁদা মাটি,বাঁশ বিভিন্ন প্রকারে রং লাগে।প্রতিমা তৈরির জন্য দুই মাস আগে থেকেই কাজ শুরু করি।দুইদিন আগে থেকেই প্রতিমা বিক্রি শুরু হয়েছে।
প্রতিমা শিল্পী হৃদয় পাল বলেন,এবছর ৪টি প্রতিমা তৈরি করেছি।আমি যে প্রতিমা গুলো তৈরি করছে সব প্রতিমা বড়।এই প্রতিমা তৈরিতে বিভিন্ন রং ব্যবহার করেছি।প্রতিমা তৈরি করতে রাত-দিন কাজ করতে হয়েছে।তিনটি প্রতিমার রংয়ের কাজ শেষ করেছি।আজ বিকেলের মধ্যে আমার প্রতিমার রংয়ের কাজ শেষ হবে।
টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুণ ঝন্টু জানান,প্রতি বছরের মতো এবারও জেলার ১২ টি উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, পাড়া-মহল্লা ও বাসা বাড়িতে সরস্বতী পূজা উদ্যাপন হবে। আশা করছি শান্তিপূর্ণভাবে জাঁকজমক পরিবেশে পূজা সম্পন্ন হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: