পাবনার বেড়া উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পে এক গৃহবধুকে ধর্ষণ করার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার(৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ২ টার দিকে বেড়া ঈদগাহ আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামীর নাম শফিকুল ইসলাম । তিনি বেড়া উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬ নাম্বর ঘরের বাসিন্দা।
থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধু বেড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২ নাম্বার ঘরের বাসিন্দা এবং গৃহিণী। গত বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে ওই গৃহবধু আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২ নাম্বার ঘরে সাংসারিক কাজ করছিলেন।এ সময় শফিকুল ইসলাম ৬নং ঘরের বাসিন্দা ওই গৃহবধুর ঘরের দরজা খোলা পেয়ে ঘরে প্রবেশ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
ধর্ষিত গৃহবধুর স্বামী জানান,শফিকুল আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করলে আমি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সরদার, কালাম মেম্বারসহ অনেককে বিষয়টি জানালে তারা সালিশ করে ১ হাজার টাকা জরিমানা করে দেয়।আমি এ রায় মেনে না নিলে তারা আমাকে ভয় দেখায় যে আমি এ রায় মেনে না নিলে আমাকে দেখে নেবেন এবং আমি আমার বৌকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করাই এমন লিখে দেবেন। কিন্তু আমি এ রায় মেনে না নিয়ে থানায় অভিযোগ করি।
তিনি আরও বলেন, আমরা ভূমিহীন বলে কি আমাদের মান নেই? আমাদের ইজ্জতের দাম কি ১ হাজার টাকা? চেয়ারম্যান জোর করে রায় মেনে নিতে আমাদের বাধ্য করে।কিন্তু আমি এ রায় মানিনা আমি ধর্ষকের বিচার চাই।
চাকলা ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সরদারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন,তাদের সমন্বয়েই এ বিচার করা হয়েছে।
ধর্ষণের বিষয়ে তিনি বিচার করতে পারেন কিনা বা ১ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন এ গুলো মিথ্যা কথা। তবে বিচারের ভিডিও বলছে অন্য কথা। সাম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ওই বিচারের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েলে এলাকায় এনিয়ে চলছে নানা সমালোচনা।
বেড়া মডেল থানার ভারপাপ্ত কর্মকতা রাশিদুল ইসলাম এসব বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষিত গৃহবধু শনিবার রাতে বেড়া মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার পরেই আসামি শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।রবিবার(৪ ফেব্রæয়ারি) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: