দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থেকে পণ্য নিয়ে গন্তব্যে না পৌঁছে উধাও হওয়া ট্রাক ৫ দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় ট্রাক চালককে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর উপজেলার তালতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ট্রাক চালক হাফিজুর ইসলামের (৩০) বাড়ি নওগাঁ জেলার পত্নীতলার শিমুলিয়া গ্রামে।
মামলার বাদী আশরাফ জানান, গত ২৭ জানুয়ারি অনুমান ৫ লক্ষ টাকার ৬ টন সরিষা ঘোড়াঘাট পৌরশহরের একটি গোডাউন থেকে লোড নেয় ওই ট্রাক চালক। সরিষা নিয়ে ছেড়ে যাওয়ার এক থেকে দেড় ঘন্টা পর চালক মুঠোফোনে জানায়, তার ট্রাকের চাকা বিস্ফোরণে নষ্ট হয়ে গেছে তাই ছয় হাজার টাকা লাগবে। তখন আমি তাকে বিকাশে সেই টাকা দিয়ে দেই। তার কিছু সময় পর থেকে ট্রাক চালকের ফোন বন্ধ পাই। তখন আমার সন্দেহ হলে, ট্রাক বন্দোবস্ত কারী ঘোড়াঘাট ট্রাক শ্রমিক ও ট্রাকটর শ্রমিক ইউনিয়ন-২৪৫ এর সাঃ সম্পাদক ওহেদ শেখকে বিষয়টি অবহিত করি।
ঘোড়াঘাট উপজেলার -২৪৫ এর সভাপতি শাহিন আকতারের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, সাধারণত দেশের বিভিন্ন জায়গায় ট্রাকে পণ্য পরিবহনের জন্য অনেকে আমাদের সহযোগিতা চায়। সেক্ষেত্রে ট্রাকের যাবতীয় কাগজ নিয়ে আমরা বন্দোবস্তকারী হিসাবে সহযোগিতা করে থাকি। ঘটনাটি জানার পর আমরা সার্বিক তথ্য প্রমাণ দিয়ে থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করি। পরে ওই প্রতারক ট্রাক চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, ভাড়া নেওয়া ট্রাকটি মুন্সিগঞ্জে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গন্তব্যে না পৌঁছে সরিষা বোঝাই ট্রাকটি লাপাত্তা হয়। বিষয়টি আমাদের নিকট জানালে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ট্রাকচালক কে সনাক্ত করতে সক্ষম হই। পরে উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান সহ পুলিশের একটি দল গাজীপুরের জয়দেবপুর উপজেলার তালতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে চালককে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, তার দেওয়া স্বিকারোক্তি মোতাবেক উধাও হওয়া ৫ হাজার ৮ শত ৮০ কেজি শরিষা উদ্ধার ও ব্যবহিত ট্রাকটি জব্দ করা হয়। সেসময় চালক ভূয়া নাম্বার প্লেট লাগিয়ে পণ্য লোড করে নিয়ে পরে সেই নাম্বার প্লেট খুলে ফেলে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: