ময়মনসিংহের তারাকান্দায় এক সন্ত্রাসীর ছুরিকাঘাতে মাসুম ওরফে মাজু (৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত জহিরুল ইসলাম জহিরকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারী) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার বিসকা ইউনিয়নের মাথুয়াদী গ্রামে এই ঘটনা ঘটনা ঘটে।
নিহত মাসুম ওরফে মাজু ওই গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে। সে পেশায় বাস চালক ছিল। আটক জহিরুল ইসলাম জহির একই এলাকার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে।
তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াজেদ আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিসকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহমেদ খান বলেন, ঘাতক জহিরুলের বাবা মৃত মজিবর রহমান মেম্বার ছিলেন। ওদের পরিবারের সবাই সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত। জহিরুলের দাদা সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলখানাতেই মারা গিয়েছিল।
তিনি বলেন, জহিরুল মাদকাসক্ত ছিল। সে সব সময় সাথে দা, ছুরি, চাকু নিয়ে ঘোরাফেরা করতেন। স্থানীয় হোসেন খার মোড়ে মানুষকে বিভিন্নভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন করত। জহিরুলের যন্ত্রনায় এলাকাবাসী অতিষ্ট ছিল। সে বেপোরোয়া জীবন যাপন করায় তার বউ তাকে ছেড়ে গিয়ে দুটি মামলা করেছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন জহিরুলের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রতিবাদ করেন, বাস চালক মাসুম এবং হোসেন খার মোড়ে জহিরুলকে কোন প্রকার সন্ত্রান্ত্রী কার্যকলাপ চালাতে দেবেন না বলে স্থানীয় কয়েকজনের সাথে আলোচনা করেন। এই কথা কোন একজন জহিরুলের কাছে বলে দেয়। এতে জহিরুল ক্ষিপ্ত হয়ে ছুরি নিয়ে এসে মাসুমকে এলোপাথারি কুপাতে থাকেন। এতে মাসুম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি ওয়াজেদ আলী বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: