মানিকগঞ্জের ঘিওরে বাৎসরিক ওরশ উপলক্ষ্যে ১২দিন ব্যাপী গ্রামীন মেলায় ত্রিমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মেলা শুরু হওয়ার পরদিনেই সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নের বাঠইমুড়ী দরবার শরিফ আয়োজিত হজরত আফাজউদ্দিন শাহ (র.) এর মাজার শরিফে গ্রামীন মেলায় ত্রিমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাটি ঘটার সময় সাথে সাথেই মাইক দিয়ে ঘোষণা হয় খাদেমদের উপরে আক্রমণ হয়েছে। যে যেখানে আছেন এলাকাবাসী মাজারের সামনে চলে আসেন ।
এর আগে, শনিবার স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে প্রশাসন ১২ দিনব্যাপী বাঠইমুড়ী হজরত আফাজউদ্দিন শাহ (র.) এর মাজার শরিফে বাৎসরিক ওরশ উপলক্ষ্যে গ্রামীন মেলার উদ্বোধন করেন।
মেলা পরিচালনা আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে স্থানীয় যুবকদের পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে মেলার ভলান্টিয়াররা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে ভলান্টিয়ারদের সাথে মারামারি হয়। এ সময় স্থানীয় কিছু বখাটে পোলাপান এক ভলান্টিয়ারের মাথায় কাঠের বাটাম দিয়ে আঘাত করে। পরে মাইক দিয়ে ঘোষণা দিয়ে মেলায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় বখাটেদের ধরে আনা হয়। এরপর তাদেরকে বিচার করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মেলায় পুলিশ ও কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছিল না বলেও কমিটি জানান।
মেলা পরিচালনা ও মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আসাদ খান জানান, মেলায় স্থানীয়দের মধ্যে মারামারি হওয়ায় ভলান্টিয়াররা ফেরাতে গেলে ভলান্টিয়ারদের মারধর করা হয়। পরে মাইক দিয়ে ঘোষণা দিয়ে বখাটেরদেরকে আটক করা হয়। এরপর মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য ও স্থানীয়দের নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে উভয়কে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মেলা সম্পর্কে মেলা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিস্তারিত বলতে পারবেন। কারণ ইউএনও’র নির্দেশে মেলার কার্যক্রম চলছে।
এছাড়াও মেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর থাকা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান ।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, মেলায় আসা মেয়েদের সাথে ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি লাগছিল। পরে মেলার কমিটির ভলান্টিয়ারদের সাথে মারামারি লাগে। মারামারি এক পর্যায়ে ভলান্টিয়াররা কাঠের বাটাম দিয়ে মারধর করে এবং মেলা পরিচালনা কমিটির কাছে নিয়ে যায়।
মেলার সভাপতি ও ঘিওর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুর রহমান জানান, শুনেছি মেলার বাহিরে অটোসিএনজি চালকেরা মারামারি করেছে। তবে মেলার ভেতরে মারামারির কথা জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।
এ বিষয়ে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, মারামারির খবর শুনে মেলায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল (সোমবার) থেকে মেলায় তিনজন করে দুই শিফটে ৬ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। আইনশৃঙ্খা রক্ষায় পুলিশ যা যা করনি সব করবে।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
জনপ্রিয় খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: