তীব্র শীত আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নওগাঁর জনজীবন, শুক্রবার সারাদিনেও দেখা মিলেনি সূর্যের। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন গ্রামের নিম্ন ও মধ্য
বিত্ত পরিবার তথা খেটে-খাওয়া মানুষরা। শুধু মানুষ না মানুষের পাশাপাশি গবাদী পশু সহ পাখিরাও শীতে কাবু হয়ে পড়েছে। গবাদী পশু গুলোকেও শীতের গরম কাপড় পড়িয়ে দিয়ে শীত নিবারণ করার চেষ্টা করছে করা হচ্ছে। এছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে দূর্ঘটনা এড়াতে রাস্তায় বিভিন্ন যানবাহন গুলো আলো জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
সন্ধ্যার পর থেকে পরের দিন দুপুর পর্যন্ত থাকা ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। শুক্রবার সারাদিন সূর্যের দেখা মিলেনি সেই সাথে উত্তরের বয়ে আসা হিমেল (বাতাস) হাওয়ায় শীতের তীব্রতাকে আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চৌমাশিয়া গ্রামের কৃষক সাজ্জাদ হোসেন মন্ডল বলেন, শুক্রবার সারাদিন সূর্যের দেখা নেই তাই গত কয়েক দিনের মধ্যে শুক্রবার অনেক বেশি শীত করছে।
নওহাটামোড় চৌমাশিয়া বাজারের ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডার এর মালিক রথিন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, চলতি বছরের মধ্যে আজ শুক্রবার প্রচন্ড শীত পড়ায় এবং প্রচণ্ড শীতের কারণে লোকজন খুব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে বের হয়নি। এজন্য, আমার মতো সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান-ই ক্রেতা শূণ্য বলেও জানান তিনি।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া অফিস এর কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, দ্বিতীয় দিনের মতো শুক্রবার সকাল ৯টায় নওগাঁয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর বিকেল ৩টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে এই তাপমাত্রা আগামীতে আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
জনপ্রিয় খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: