জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁওয়ের ৩টি আসনের ১৪ প্রার্থীর মধ্যে ৯ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
যেকোনো আসনে মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
“সে হিসেবে যারা প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পাননি, তাদের সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হিসেবে বিবেচনা হবে।”
রোববার দিনব্যাপী ভোট গ্রহণ শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন ঠাকুরগাঁওয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তা- ও জেলা মাহবুবুর রহমান।
ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আসনগুলোর মধ্যে ঠাকুরগাঁও ১, ২, ৩, এই তিনটি আসনে জয়ী প্রার্থী ছাড়া ৯জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
এদের মধ্যে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে ৫ জন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনে ৫ জন এবং ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে বিভিন্ন দলীয় প্রতীকে ১০ জন ও ৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।
ঠাকুরগাঁও-১ আসনে প্রার্থী ছিলেন ৫ জন,
এই আসনে সর্বমোট বৈধ ভোট পড়ে ২ লাখ ৩০ হাজার ৫৯৪টি। এর মধ্যে ২ লাখ ৫ হাজার ৩১৩ ভোট পেয়ে ৫ম বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন আ,লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির রেজাউর রাজি স্বপন চৌধুরী লাঙ্গল প্রতীকে ১৩ হাজার ৯৪০ ভোট পান।
ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম মিনার প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৯৬ ভোট, আ,লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা আক্তার মোল্লা ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৮৬৩ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকে মো. রাজিউল ইসলাম পেয়েছেন এক হাজার ৯ ভোট।
ঠাকুরগাঁও-১ আসনে জয়ী প্রার্থীর বিপরীতে সবাই তাদের জামানত হারিয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও-২ আসনের মোট প্রার্থী ৫ জন।
এখানে ১০৪টি কেন্দ্রে মোট বৈধ ভোট পড়েছে এক লাখ ৭৮ হাজার ২৮৬টি। আ.লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে মো. মাজহারুল ইসলাম সুজন এক লাখ ১৫ হাজার ৪১৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগ নেতা মো. আলী আসলাম জুয়েল ট্রাক প্রতীকে ৫৭ হাজার ২৩৫ ভোট । তবে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মোছা. নুরুন নাহার বেগম এক হাজার ৯৮৬ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকে মোছা. রিম্পা আকতার ৪২৬ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল কাদের সোফা প্রতীকে ৩ হাজার ২১৩ ভোট পেয়ে নিজেদের জামানত হারিয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ৪ জন। এই আসনের ২ জন প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন। মোট ১২৮ ভোটকেন্দ্রে বৈধ ভোট পড়েছে এক লাখ ৭৩ হাজার ৮২৭টি। এর মধ্যে এক লাখ ৬ হাজার ৭১৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন লঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৮২১ ভোট।
অপর দুই প্রার্থী ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. আশা মনি এক হাজার ৬৮৩ ভোট ও বিকল্পধারার প্রার্থী খলিলুর রহমান সরকার কুলা প্রতীকে ৬০৯ ভোট পেয়ে এই ২জন প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন।
জনপ্রিয় খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: