নাশকতা মামলার পলাতক আসামি জাতীয়তাবাদী উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জোবায়ের হোসেন সাদ্দামের বাসায় তল্লাশীতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের হেনস্তার শিকার হয়েছে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ। এসময় পরিবারের নারী সদস্যরা পুলিশের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাশকতা মামলার তদন্ত অফিসার উপ-পরিদর্শক অসীম কুমার মোদক জানান, সোমবার বিকাল ৩টায় স্থানীয় লোকজনের তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি, ছাত্রদলের নেতা জোবায়েরের নেতৃত্বে ছাত্রদলের কয়েকজন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন বানচাল ও প্রতিহত করার জন্য লিফলেট বিতরণসহ রাতে মহাসড়কে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতা করতে পারে। এই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধের জন্য নাশকতার মামলায় এজাহার ভুক্ত আসামি জোবায়ের হোসেন সাদ্দামের বাসায় গেলে, তার পরিবার আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশোভন আচারণ এবং পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে আপত্তিকর কথা বলে। পরে সেখান থেকে চলে আসার সময় কোন ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা যাতে জোবায়ের হোসেন সাদ্দাম না করে এবং যদি কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটায়, তাদের ছেলের খবর আছে বলে পরিবারকে সর্তক করি আসি।
স্থানীয় আসাদুল, রায়হান ও মফিদুল জানান, বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে আমরা ছাত্রদল নেতা সাদ্দামের বাসায় যেতে দেখি। পুলিশ তার বাসায় গেলে বাহির থেকে আমরা কয়েকজন মেয়ে ছেলের চিৎকার করে কথা বলতে শুনি। তারপর কিছু সময় পরে পুলিশকে তার বাসা থেকে বের হয়ে আসতে দেখি।
সোমবার (১ জানুয়ারি) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, থানা এলাকার আইন শৃঙ্খলা ও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে নাশকতা প্রতিরোধের জন্য আমরা দিনে এবং রাতে অত্যন্ত সতর্ক অবস্থায় আছি। এরি ধারাবাহিকতায় থানা এলাকায় নাশকতা করতে পারে এমন তথ্য পায় পুলিশ। পরে নাশকতা মামলার পলাতক এজাহার ভুক্ত আসামি উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়কের বাসায় পুলিশ গেলে পুলিশের সাথে অসৌজন্যমূলক ও অশোভন আচারণ করে তার পরিবার। এবিষয়ে রাতে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে এবং ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে পরবর্তীতে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, নাশকতা মামলার এজাহার ভুক্ত পলাতক আসামির পরিবারের লোকজন পুলিশের সাথে অসদাচরণ করছে ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: