আনোয়ারা উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক গত ১৫ই ডিসেম্বর (শুক্রবার) আয়োজিত ১০কিমি ম্যারাথনে প্রথমবার অংশ নেয়ার অনুভুতি প্রকাশ করে মাদকমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে ম্যারাথন অনেক বেশি ভুমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেন অর্ণব।
নিজেকে ফিট রাখতে হলে ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই।
আর এই ব্যায়ামের মধ্যে সবচেয়ে ভালো হলো দৌড়।
নিয়ম মেনে একটা নিদিষ্ট সময় দৌড়াতে পারলে শরীরের পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের রোগের সঙ্গে লড়াই করে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায়।
এছাড়াও বর্তমান প্রজন্ম খেলাধুলা থেকে ছিটকে পরছে প্রতিনিয়ত।এর পেছনে যদিও বিভিন্ন কারণ রয়েছে।
তবুও মাদকমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে ম্যারাথনের মত আয়োজন গুলো অনেক বেশি ভূমিকা রাখে বলে ধারনা করা হয়।
গত ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ২০২৩ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন,আনোয়ারা কর্তৃক ১৫ই ডিসেম্বর (শুক্রবার) আয়োজিত হয় "আনোয়ার ১০কিমি ম্যারাথন"।প্রায়ই ৪৩২ জন প্রতিযোগী ৩টি ক্যাটাগরি তে উক্ত আয়োজনে অংশ নেয়।
শুক্রবার সকাল ৬:৩০ ঘটিকায় আনোয়ারা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাট থেকে শুরু হয়ে কালা বিবি দীঘির মোড়,বঙ্গবন্ধু টার্নেল সড়কের ইউ টার্ন হয়ে পুনরায় আনোয়ারা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাটে এসে শেষ হয়।
জীবনে ম্যারাথনে প্রথম অংশ নিয়ে অর্ণব বলেন, আমি মনে করি ম্যারাথন আমাদের বাংলাদেশে নতুন একটা কনসেপ্ট।এই ম্যারাথন বর্তমান প্রজন্মের কাছে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে তরুণ প্রজন্ম ম্যারাথনের প্রতি তাঁদের আগ্রহ প্রকাশ করতে বিভিন্ন ম্যারাথন ইভেন্টে অংশগ্রহন করছে। যার একটা উদাহরণ বলা যায় আমি নিজেই।সামাজিক যোগাযোগ মাধমের সুবাদে জানতে পেরে আমি এবং আমার এক বড় ভাই সহ রেজিস্ট্রেশন করি।
মূলত অনেকদিন ধরেই আমার ইচ্ছে ছিল এইরকম একটা ম্যারাথনে অংশ নিব।প্রথম দিকে অনেকে বিভিন্ন মন্তব্য করলেও আমি আমার আগ্রহ টা ধরে রেখেছিলাম।
১৫ তারিখ আনুমানিক ভোর ৪:৩০ ঘটিকার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে পড়ি।গন্তব্য আনোয়ারা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাট,তবে ভোরের প্রচণ্ড কুয়াশায় মোটর সাইকেল চালানো খুব একটা রিক্স বলা যায়।
তবুও আমরা নিদিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পোঁছে যায়।জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়।এসময় আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এরপরপরই শুরু হয় প্রতিযোগিতা।
৫৬ মিনিটে আমি ১০কিমি ম্যারাথন শেষ করতে সক্ষম হয় এবং ৮ম স্থান অর্জন করি।১০ কিমি রাস্তা জুড়ে স্কাউটস এবং ভলান্টিয়াররা আমাদের সহযোগিতা করেছেন।
১ম,২য় কিংবা ৩য় হতে না পারলেও ম্যারাথনে প্রথম অংশগ্রহণকারী হিসেবে অনেক অভিজ্ঞতা আর বিভিন্ন প্রফেশনাল রানারদের কাছ থেকে ম্যারাথনের বিভিন্ন নিয়মকানুন শিখতে পেরেছি।
সর্বোপরি বলা যায় জীবনের নতুন এক প্রাপ্তি এটি।খুব চমৎকার ভাবে উপভোগ করেছি আনোয়ারা উপজেলা প্রশাসনের এমন আয়োজনটি।
আমাদের যুব সমাজ,তরুণ প্রজন্ম সহ সকলকে এমন আয়োজনের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করার জন্য আমার অনুরোধ থাকবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: