মানিকগঞ্জ সিংগাইর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে বিনোদপুর নয়াপাড়া আবাসিক এলাকায় তিন ফসলী জমিতে প্রভাব খাটিয়ে মার্বেল গ্রেনাইড কাটিং ফ্যাক্টরী নির্মানের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে উপজেলার একাধিক সরকারি দপ্তরে এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ করে কোন প্রতিকার না পেয়ে গত ১৫ অক্টোবর জেলা প্রশাসক বরাবর আরো একটি লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারনেই প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সিংগাইর উপজেলার বিনোদপুর নয়াপাড়ায় আবাসিক এলাকায় মার্বেল গ্রেনাইড কাটিং ফ্যাক্টরী নির্মান করে কার্যক্রম শুরু করিলে
এলাকাবাসী মনে করেন, এই ফ্যাক্টরীর ডাস্ট এলাকার তিন ফসলী আবাদি জমি ও পুকুরের মাছের মারাত্বক ক্ষতিসাধন করবে এবং শব্দ দূষনের ফলে স্কুল-মাদ্রসার কোমলমতি শিশুদের লেখাপড়া মারাত্বক ভাবে ব্যহত হবে। এলাকায় বসবাস করাসহ পরিবেশের মারত্বক ক্ষতি হবে বিধায় এলাকাবাসী ইতি পূর্বে মার্বেল গ্রেনাইড কাটিং ফ্যাক্টরী নির্মানের কাজ বন্ধের জন্য বিগত ২৫ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর অভিযোগ করেন এবং পৌরসভায় আবেদনের অনুলিপি প্রেরেণ করেন। আবার নতুন করে বিগত ১ লা মে সিংগাইর পৌরসভার মেয়র বরাবর আবেদন করেন তারা। যার অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা কৃষি অফিসার, অফিসার ইনচার্জ, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, প্রেস ক্লাব সিংগাইরকে এবং পরিবেশ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ, প্রেস ক্লাব মানিকগঞ্জ কে প্রদান করেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রতিকার পাননি।
এ বিষয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা জানি এখানে বাগান বাড়ি হইবো। এখন দেখতেছি মার্বেল গ্রেনাইড কাটিং ফ্যাক্টরী । এখানে ফ্যাক্টরী হলে শব্দের কারনে রাতে শান্তিতে ঘুমাইতে পারবো না,স্কুল-মাদ্রসায় ছেলে-মেয়েরা লেখা-পড়া করতে পারবে না। আর এই ফ্যাক্টরীর দুইপাশে দুইটা মসজিদ সামনে পুকুর, চারপাশে চার ফসলি আবাদি জমিসহ আমাদের বসবাসের এলাকা। শব্দ দূষন,বায়ু দূষন ও ফ্যাক্টরীর ডাস্টে আমাদের জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়বে। আমরা প্রশাসনের নিকট একাধিকবার অভিযোগ করেছি। তাই প্রশাসনের নিকট আমাদের একটাই দাবী এই মার্বেল গ্রেনাইড কাটিং ফ্যাক্টরী আমাদের এলাকায় না করে অন্যত্র করা।
সৌদী প্রবাসীর স্ত্রী কুলসুম বেগম জানায়, আমার বসত বাড়ির জায়গা ফ্যাক্টরীর লোকজন জোর করে দখল করেছে। কিছু বলতে গেলে আমাদের ভয় দেখায়।
মার্বেল গ্রেনাইড কাটিং ফ্যাক্টরীর ম্যানেজার সানোয়ার হোসেনর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা নিয়ম মেনেই ফ্যাক্টরী তৈরী করতেছি। আমি ঢাকায় আছি এবং ফ্যাক্টরীর কাগজপত্রও ঢাকায়, তাই আপনাকে কাগজ দেখাতে পারলাম না।
এ ব্যাপারে সিংগাইর পৌরসভার মেয়র আবু নাঈম মোঃ বাশার বলেন, ফ্যাক্টরি সম্পর্কে অভিযোগ পেয়েছিলাম, কিন্তু কোন প্রকার অনুমোদন কিংবা ট্রেড লাইসেন্স আমরা দেই নাই । নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই ফ্যাক্টরি করছে তারা ।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো: ইউসুফ আলী জানান, অভিযোগ পেয়ে ফ্যাক্টরী বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
জনপ্রিয় খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: