'জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণে পাঠ'এই শ্লোগানে একুশে পাঠচক্রের নিয়মিত আসর শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে শেরপুর নালিতাবাড়ীর সেঁজুতি অঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
'তারুণ্যের নৈতিকতা ও সমাজ ভাবনা 'শিরোনামে একুশে পাঠচক্রের ১৬তম আসরে বীর মুক্তিযোদ্ধা তফাজ্জল হোসেন মাস্টার এর সভাপতিত্বে বক্তব্য উপস্থাপন করেন, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মুসা, নাট্যশ্রমীর চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামান জুয়েল, প্রভাষক নজরুল ইসলাম, প্রভাষক স্বপ্না চক্রবর্তী, শিক্ষক অরুপ চন্দ্র দেবনাথ, মাহমুদুল আহসান লিটন প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান তালুকদার, শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, প্রভাষক নজরুল ইসলাম, শিক্ষক সামেদুল ইসলাম, ব্যাংক কর্মকর্তা আওয়াল হোসেন, সাংবাদিক শাহাদত তালুকদার,নশিক্ষক তনিমা ইসলাম প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন একুশে পাঠচক্রের সদস্য সাদ্দাম হোসেন।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, তরুণ বয়সই জীবনের বিস্ময়কর সময়। শৈশব ও প্রাপ্তবয়স্কের মাঝামাঝি সময়কেই তরুণ বলা হয়। তরুণরা সমগ্র বিশ্বের মেরুদণ্ড।তাদের মাঝে পিছুটান থাকে না। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য তারা প্রস্তুত থাকে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম তারুণ্যের জয়গান করেছেন।
রবিঠাকুর বলেছিলেন, ‘ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা, ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ, আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা।’ কাজী নজরুল নিজেই ছিলেন তারুণ্যের প্রতীক। তিনি বলেছেন, ‘আমরা শক্তি আমরা বল আমরা ছাত্রদল। মোদের পায়ের তলায় মূর্ছে তুফান ঊর্ধ্বে বিমান ঝড়-বাদল।’ অর্থাৎ, তুফানও তরুণদের চরণতলে থাকে, কী পরিমাণ সাহস তরুণ জীবনে! সাম্প্রতিক সময়ে পৃথিবীতে যেসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে, তরুণদের মাধ্যমেই হয়েছে।
প্রাচীনকালেও এর যে বিপরীত চিত্র দেখি তা কিন্তু নয়। কারণ প্রাচীনকালে মেসিডোনিয়ার রাজা আলেকজান্ডার মাত্র ২৩ বছর বয়সে অর্ধেক পৃথিবী জয় করেছেন। হযরত মুহাম্মদ (স.) এর দিকেও যদি তাকাই, তিনি ২০ বছর বয়সে ‘হিলফুল ফুজুল’ নামে যে সংগঠন তৈরি করেন। এর মাধ্যমে কুরাইশ বংশের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মাঝে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন। মুঘল সম্রাট আকবর মাত্র ১৩ বছর বয়সে দিল্লির সিংহাসনে বসেন। ১৯ বছর বয়সে তিনি তার কূটনৈতিক দূরদর্শিতার মধ্য দিয়ে ভারতবর্ষকে একটি আধুনিক বৃহত্তর রাষ্ট্রের সোপানে নিয়ে যান। রাজনীতিতেও আমরা দেখি সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে তরুণ সমাজ।
দ্বিতীয় পর্বে কবিতার আসরে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন করেন আওয়াল হোসেন,কবিতা আবৃত্তি করেন অরুপ দেবনাথ,শিক্ষক মশিউর রহমান মুসা,গান পরিবেশন করেন শিশু শিক্ষার্থী শ্রদ্ধা সাহা,সেঁজুতি সাংস্কৃতিক একাডেমির শিক্ষক মনি গাঙ্গুলি,বাঁশি বাজায়ে শোনান সেঁজুতি সাংস্কৃতিক একাডেমির পরিচালক সামেদুল ইসলাম।
জনপ্রিয় খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: