গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম (৪৫) হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের রাঘবচর ও রংপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন সুন্দরগঞ্জর পূর্ব শিবরাম গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে জয়নাল মিয়া (৩৪), পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে মারুফ মিয়া (২৫) এবং একই এলাকার মৃত মুসলিম বেপারীর ছেলে মোজাম্মেল হক (৫০)।
নিহত জাহিদুল ইসলাম সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ওই ইউনিয়নের পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামের আবুল হোসেন মেম্বারের ছেলে।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছেন, গ্রেফতার মারুফ মিয়ার পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জাহিদুল ইসলামকে হত্যার ছক তৈরি করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১২ নভেম্বর) রাতে জাহিদুলকে শাখামারা ব্রিজের ওপর নিয়ে আসেন মারুফ। পরে তারই পরিকল্পনা অনুযায়ী আগে থেকে ওত পেতে থাকা তার সহযোগীরা বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও হাত-পায়ের রগ কেটে জাহিদুলকে গুরুতর জখম করেন। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১৩ নভেম্বর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে মারা যান জাহিদুল।
র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক আরাফাত ইসলাম জানান, গ্রেফতার আসামিরা সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু নাশকতার সঙ্গে জড়িত। এদের মধ্যে মারুফ মিয়া সোনারায় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি, জয়নাল মিয়া সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং মোজাম্মেল হক একজন জামায়াত কর্মী।
গ্রেফতারদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
জনপ্রিয় খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: