শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বারো বছর বয়সী কন্যা শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে বাবু মিয়া (২৯) নামের এক অন্ধ যুবকের ৪৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন শেরপুরের আদালত। এর মধ্যে ধর্ষণের দায়ে ৩০ বছর ও অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের দণ্ড দেওয়া হয়। তবে উভয় সাজা একই সঙ্গে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
বুধবার (১ নভেম্বর) বিকেলে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কামরুন নাহার রুমী এ রায় ঘোষণা করেন।
একই সঙ্গে অপহরণে সহায়তার দায়ে বাবুর বাবা মোফাজ্জল হক (৫৪) ও তার আত্মীয় লুৎফা বেগমকে (৩৪) ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সবাইকে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের সাজার আদেশ দেওয়া হয়। দণ্ডিতরা নালিতাবাড়ী উপজেলার বনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি গোলাম কিবরিয়া বুল জানান, নালিতাবাড়ী উপজেলার বনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোফাজ্জল হক তার অন্ধ ছেলের জন্য পার্শ্ববর্তী গেরাপচা গ্রামের ওই কন্যাকে দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু দিলে ওই কন্যাশিশুর মা-বাবা তা প্রত্যাখ্যান করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ২০১৯ সালের ৫ মে ওই শিশুর বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে মোফাজ্জল হক, লুৎফা ও বাবু নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে শিশুটিকে অজ্ঞান করে ঢাকায় নিয়ে এক বাসায়
আটকে রাখে। এরপর সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করে বাবু।
এদিকে কন্যাশিশুর বাবা বাড়ি ফিরে মেয়েকে না পেয়ে বাবু মিয়াকে প্রধান আসামি করে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর নালিতাবাড়ী থানা-পুলিশ একই বছরের ২৯ মে অপহৃতা কন্যাশিশুকে উদ্ধার করে। তদন্ত শেষে জড়িত ওই তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জুহুরুল হক।
মামলায় সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাবু মিয়া, তার বাবা মোফাজ্জল হক ও লুৎফা বেগমকে দণ্ডিত করা হয়।
জনপ্রিয় খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: