গাজীপুর মহানগরীতে প্রেমিকার সঙ্গে ম্যাসেঞ্জারে চ্যাটিং করার কারণে এক কিশোরকে হত্যার ৬ মাস পর ঘটনার মূলহোতা মো. আরাফাতকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বুধবার (২৫ অক্টোবর) রাতে তাকে লক্ষ্মীপুর জেলার মান্দারীবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত কিশোরের নাম সিয়াম (২০)। তিনি গাজীপুর মহানগরীর সদর মেট্রো থানাধীন ছোট দেওড়া এলাকার মো. সফিকুল ইসলামের ছেলে। আরাফাত গাজীপুর মহানগরীর সদর থানার দক্ষিণ ছায়াবিথী এলাকার মো. মইনউদ্দিনের ছেলে।
র্যাব-১ পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মো. ইয়াসির আরাফাত হোসেন বৃহস্পতিবার বিকেলে এসব তথ্য জানিয়েছেন। গ্রেপ্তারের পর র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আরাফাত হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
র্যাব জানায়, গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে মহানগরীর সদর থানাধীন দক্ষিণ ছায়াবিথীর ফণিরটেক এলাকার এক ধানক্ষেতের কাছে হাত-পা কাপড় দিয়ে বাঁধা এক কিশোরের মরদেহ পাওয়া যায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আরাফাতের। ঘটনার ৫ দিন আগে ওই মেয়েটি গাজীপুর মহানগরের সদর থানার ছোট দেওড়া এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে তার বান্ধবীর সাথে ঘুরতে গিয়ে সিয়াম নামে একজনের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে তারা নিজেদের ফেইসবুক আইডি নেওয়া-দেওয়া করে। তারপর তাদের মাঝে ম্যাসেঞ্জারের কিছু চ্যাটিং হয়। এদিকে প্রেমিক আরাফাতের মোবাইলে তার প্রেমিকার ফেসবুকের আইডি পাসওয়ার্ড থাকায় তিনি সিয়ামের সঙ্গে করা মেসেজগুলো দেখতে পান।
আরাফাত তার প্রেমিকার সঙ্গে করা মেসেজগুলো দেখে মেনে নিতে পারেননি। তাই তিনি সিয়ামকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় আরাফাত তার প্রেমিকার ম্যাসেঞ্জার আইডি থেকে নিজের পরিচয় গোপন করে সিয়ামকে দেখা করতে বলেন। পরে সিয়াম দেখা করতে গেলে আরাফাত ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন সিয়ামকে হত্যা করে পালিয়ে যান।
র্যাব কর্মকর্তা মেজর মো. ইয়াসির আরাফাত হোসেন জানান, সিয়াম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আরাফাতকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি করা হয়। গত ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় র্যাবের অভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে র্যাব-১১ এর সহায়তায় লক্ষ্মীপুর জেলার মান্দারীবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. আরাফাতকে গ্রেপ্তার করে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: