কুড়িগ্রাম-১ : দলমত নির্বিশেষে শোভনকে চায় জনগণ

সময় ট্রিবিউন | ২০ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:১৮

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-১(নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারী) আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে চায় সর্বস্তরের জনগণ। জাতীয় পার্টির ঘাটি হিসেবে পরিচিত এ আসনে শোভনকে মনোনয়ন দিলে তার পক্ষে গণ জোয়ার উঠবে বলে দাবি করেছেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।

কুড়িগ্রামের এক ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী পরিবারের সন্তান শোভন খুব অল্প সময়েই জনগণের মনে স্থান করে নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের প্রতি আপোষহীন এবং উত্তরাঞ্চলের গরীব দু:খী মানুষের ভরসার জায়গা হিসেবে তার পরিবারের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তারমাঝে সাধারণ জীবনযাপন, বিনয়, সরলতা, মেধা ও যোগ্যতা শোভনকে সাধারণ জনগণের মাঝে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের দাদা শামসুল হক চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ছিলেন। তিনি ১৯৭০, ১৯৭৩ ও ১৯৭৯ সালে কুড়িগ্রাম-১ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এবং ১৯৭৭ সালে দেশের ক্রান্তিলগ্নে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

শোভনের বাবা নুরুন্নবী চৌধুরী খোকন ১৯৮১ সালে ভুরুঙ্গামারি উপজেলা ছাত্রলীগ, ১৯৯১ সালে যুবলীগের সভাপতি ছিলেন ও ২০১৪ সাল থেকে দুইবারের উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ২৩ বছর ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

শোভনের পারিবারিক ঐতিহ্য আর মেধা ও যোগ্যতায় সন্তুষ্ট হয়ে পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে শোভনকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে মনোনীত করেন। এতে এলাকার সর্বস্তরের জনগণের মাঝে এক উন্মাদনার সৃষ্টি হয়। উত্তরাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনপদ থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে শোভনকে বাছাই করায় শেখ হাসিনার উপর প্রান্তিক জনগণের আস্থা বহুগুণে বেড়ে যায়। শোভনকে কেন্দ্র করে দ্রুত সংগঠিত হয়ে উঠে এ অঞ্চলের তরুণ সমাজ। আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও শোভনের উপর ভরসা করতে থাকে।

জাতীয় পার্টির ঘাটি হিসেবে পরিচিত কুড়িগ্রাম-১ আসন শোভনের নেতৃত্বে আবারও নৌকার ঘাটি হয়ে উঠবে বলে মনে করেন এ অঞ্চলের আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা-কর্মীরা। দলমত নির্বিশেষে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে শোভনকে এই আসনের অভিভাবক হিসেবে দেখতে চান তারা।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিয়মিত জনসংযোগ ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে যাচ্ছেন। এলাকার তরুণ ভোটারসহ সাধারণ জনগণের মধ্যে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নির্বাচনী মাঠ পর্যায়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন শোভন। নেতাকর্মীরা দাবি করছেন, শোভনকে কুড়িগ্রাম-১ আসনে নৌকার মনোনয়ন দিলে এ আসনটি অজীবন নৌকার ঘাটি হিসেবে তৈরী হবে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, "বংশানুক্রমিকভাবে আমাদের পরিবার এ অঞ্চলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। তৃণমূল জনগণের সাথে মিশে যেতে পেরেছেন বলেই আমার দাদা একসময় নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং আমার বাবা এখনও এ অঞ্চলের মানুষের আস্থার ঠিকানা। তাই সে দায়বদ্ধতা থেকে আমিও মানুষের সেবা করছি। যতটুকু সম্বল আছে, ততটুকু দিয়েই মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। দেশরত্ন শেখ হাসিনারও কুড়িগ্রামের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে।"

শোভন বলেন, "নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দারিদ্যপীড়িত ও অধিকার বঞ্চিত চরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করব। এ অঞ্চলের রাস্তাঘাট ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যাবো বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য। সারাদেশে যেখানে উন্নয়নের জোয়ার চলছে সেখানে কুড়িগ্রামকেও অন্তর্ভুক্ত করব। জননেত্রী কখনও নিরাশ করবেননা বলে বিশ্বাস করি।"

তিনি আরও বলেন, "এই মুহূর্তে রাষ্ট্র পরিচালনা করার জন্য শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। আমাকে কুড়িগ্রাম ১ আসনে মনোনয়ন দিলে আমি দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ আসনটি আজীবনের জন্য উপহার দেব।"



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: