সংবাদ প্রকাশের জের ধরে পটুয়াখালীর মহিপুরে সাংবাদিক মাইনুদ্দিন আল আতিককে এক ইমাম ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন মাধ্যমে মামলা-হামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সাংবাদিক মাইনুদ্দিন আল আতিক বাদি হয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মহিপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডি নম্বর-৭৯১।
জানা গেছে, সরকারি ইট দিয়ে মহিপুর থানাধীন ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের থানখোলা জামে মসজিদের ইমামের বাড়িতে টয়লেট নির্মাণ হচ্ছে– এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদ সংগ্রহে যায় স্থানীয় সাংবাদিক আল-আমিন অনিক, মনির হাওলাদার, ইমাম হোসেন হিমেল ও মাইনুদ্দিন আল আতিক। এসময় অভিযুক্ত ইমাম হাফেজ মহসিন ফরাজী (৪০), তার পিতা আব্দুল কাদের ফরাজী (৭৫), মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন (৪৫), তার ছেলে আবির হোসেন (২২) বাঁধা প্রদান করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে বলে- এ বিষয়ে রিপোর্ট করলে খুন-জখম করবে, মিথ্যা মামলা করে জেল খাটাবে এবং সাংবাদিকতা বন্ধ করে দেবে।
পরবর্তীতে উক্ত বিষয়ে রিপোর্ট করায় মসজিদের ইমাম হাফেজ মহসিন ও তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবেশী সাংবাদিক মাইনুদ্দিন আল আতিককে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করাসহ ভাড়াটে মাস্তান দিয়ে মারধর করার পায়তারা চালাচ্ছে।
এ ঘটনায় তিনি কুয়াকাটা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও মহিপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলামসহ সিনিয়র সাংবাদিকদের অবগত করে মঙ্গলবার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মহিপুর থানায় জিডি করেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিক মাইনুদ্দিন আল আতিক বলেন, ‘সরকারি ইট দিয়ে ইমামের বাড়িতে টয়লেট নির্মাণের সংবাদ প্রকাশ হলে ইমাম মহসিন ও তার সহযোগীরা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করাসহ ভাড়াটে মাস্তান দিয়ে মারধর করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। তাই জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেছি।’
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার মোঃ আবুল খায়ের বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে শীঘ্রই আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: