বয়স বেশি হওয়ায় পাত্রী পাচ্ছিলেন না নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সৌদি প্রবাসী এক ব্যক্তি। তার নাম মো. সুমন, বয়স ৪০। বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে গ্যাং নিয়ে স্কুলছাত্রী অপহরণ করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ভোরে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় মাইক্রোবাসসহ ওই প্রবাসী এবং তার সাত সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রবাসীর সুমন নরোত্তমপুরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লুৎফুল হক সর্দারের ছেলে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নরোত্তমপুর ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামে কিশোরীকে তুলে নেওয়ার এ ঘটনা ঘটে। ওই রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে অভিযানে নামে পুলিশ।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- সুমনের ভাগ্নে হাছান, আলাউদ্দিন ইমন, সহযোগী মিজানুর রহমান মিজান, আবদুর রহিম, মো. সাগর, মাইক্রোবাসচালক মো. ইয়াছিন আরাফাত সাকিব ও চালকের সহকারী সাবের হোসেন সাব্বির।
তাদের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় অপহরণ মামলা করেছেন। মামলায় সুমনের বোন-ভাগ্নেসহ আরও ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) বিজয়া সেন কবিরহাট থানায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ছয় মাস আগে সুমন সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজে না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। পরে নবম শ্রেণি পড়ুয়া প্রতিবেশী এক মেয়েকে তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি। সোমবার ইফতারের সময় সহযোগীদের নিয়ে ওই কিশোরীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যান সুমন। এ সময় স্কুলছাত্রীর মা ও ভাবিকে মারধরও করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে অভিযানে নামে পুলিশ। রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে চেকপোস্ট বসিয়ে মাইক্রোবাসসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সুমন ওই স্কুলছাত্রীর মাকে ভাবি ডাকেন। তার (ভাবির) ছোট মেয়েকে বিয়ে করার জন্য তুলে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। পরে তিনি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এসটি/এসকে
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: