দিনাজপুরে প্রথমবারের মত মধু উৎসব ও প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টায় আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মাশিমপুর গ্রামে লিচুর বাগানে এই উৎসব পালিত হয়। মোসাদ্দেক বি ফার্ম ও আলোর পথে জাগো যুব সংগঠন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খন্দকার মো. রওনাকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি।
মোসাদ্দেক বি ফার্মের সত্বাধিকারী মোসাদ্দেক হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বসিরুল আল মামুন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শেখপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সোহাগ, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী, আউলিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, আউলিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. জাকির হোসেন, উত্তরবঙ্গ মধুচাষি সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, দিনাজপুরকে মধুর জেলা হিসেবে সারাদেশ কিংবা পুরো বিশ্ব চিনে। দিনাজপুর জেলার উৎপাদিত মধু নিয়ে একটি ভালো অর্থনৈতিক বাজার সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতি বছর দিনাজপুর জেলায় বছরে একহাজার কোটি টাকার মধু নষ্ট হচ্ছে। যদি মধু সংগ্রহ করা যায় তাহলে সেই মধু থেকে প্রতিবছর একহাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। এজন্য যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। যারা মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত হয়েছে, তাদের এই সব কাজে যুক্ত করতে পারলে তারা ঘুরে দাড়াতে পারবে। ভবিষ্যতে দিনাজপুরে মধু শিল্পে দুই লক্ষ যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। যদি এক লক্ষ যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় তাহলে এভাবে সারা দেশে ৬৪ লক্ষ যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। চলতি বছর দিনাজপুরে ৪৫ মেট্রিক টন মধু উৎপাদন হয়েছে। যা ভবিষ্যতে ৫০০ মেট্রিক টন মধু উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: