ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। এর স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের জন্য সব রাজনৈতিক দলকে বলেছিলাম প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আসুন। ইভিএম মেশিনে ভোট কারচুপির কোনো সুযোগ বা পদ্ধতি থাকলে আমাদের নিশ্চিত করুক। আমরা বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছি ভোট কারচুপির কোনো ধরনের সুযোগ নেই। আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি বিগত ১০ মাসে এ ধরনের কোনো বস্তুনিষ্ঠ অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে পাবনার ঈশ্বরদীতে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘নির্বাচনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার: চ্যালেঞ্জসমূহ এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সিইসি বলেন, সব সময় প্রত্যাশা করি বড় রাজনৈতিক দলগুলো যেন নির্বাচনে অংশ নেয়। প্রশাসন, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব। নির্বাচনের মতো বৃহৎ কর্মযষ্ণ কেবল একক কোনো সংস্থার মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করতে হবে। নির্বাচনের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বজায় রাখতে এবং ভোটকেন্দ্রে সব ধরনের অনিয়ম রোধ করতে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফর উল্লাহর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল বাতেন, পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন ও পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলা এবং উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: