পঞ্চগড়ে নৌকাডুবিতে প্রাণহানির ঘটনায় ১১৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অধীন তদন্ত কমিটি। এতে দুর্ঘটনার জন্য আটটি কারণ উল্লেখ করা হয়। ভবিষ্যতে নৌ দুর্ঘটনা রোধে পাঁচটি সুপারিশের কথা উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম সোমবার (০৩ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময়ে এই কথা জানান। তবে তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত তিনি জানাননি।
এর আগে গতকাল রবিবার রাতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) দীপঙ্কর রায় জেলা প্রশাসকের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন বলে জানান জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিবেদন পর্যালোচনায় ইজারাদারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে বলে প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নে আউলিয়া ঘাট থেকে শতাধিক মানুষ নিয়ে একটি নৌকা বড়শশী ইউনিয়নের বদেশ্বরী মন্দিরের দিকে যাত্রা শুরু করে। ঘাট থেকে কিছু দূর যাওয়ার পর নৌকাটি ডুবে যায়। এতে ৬৯ জনের লাশ উদ্ধার হয় এবং তিনজন নিখোঁজ আছেন। ঘটনার দিন রাতে বোদা থানায় একটি ইউডি মামলা করে পুলিশ।
ঘটনার পর জেলা প্রশাসন পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর রায়কে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে তদন্ত কমিটির প্রধানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদন দাখিলের মেয়াদ আরও তিন কার্যদিবস বাড়ানো হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: