পঞ্চগড়ে করতোয়ায় নৌকাডুবির ঘটনার তৃতীয় দিনে এসে লাশের মিছিলে আরো ১৭ জন যুক্ত হয়েছে। গত রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বোদা উপজেলার আউলিয়াঘাট এলাকায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে রওনা হওয়ার কিছুক্ষণ পর মাঝ নদীতে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৭ জনের লাশ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর রায়।
এর আগ গতকাল সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ অব্যাহত রাখেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। গতকাল উদ্ধার কাজ স্থগিত রাখার আগ পর্যন্ত ৫০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত আরো ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। টানা তিন দিন পানিতে ডুবে থাকায় বেশ কিছু লাশ বিকৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। পরনের কাপড় দেখে স্বজনেরা লাশ সনাক্ত করছেন।
তবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা দায়সারাভাবে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় এলাকাবাসী ও স্বেচ্ছাসেবকদের।
ঘটনাস্থলে গিয়ে হুমায়ুন নামে এক স্বেচ্ছাসেবকের সাথে কথা হয়। তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নৌকায় করে নদীতে লাশ খুঁজছেন। অথচ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা নদীতে নেমে গত তিন দিন ধরে লাশ খুঁজে যাচ্ছেন। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা খুব কমই লাশ উদ্ধার করতে পেরেছেন যোগ করেন হুমায়ুন।
পাশে থাকা ভীপেন সাহা নামে এক ব্যক্তি একই অভিযোগ করে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নদীর কিনারা দিয়ে হেঁটে লাশ খুঁজছেন। ডুবরী দল এসেও খুব একটা উপকার হয়নি। যতগুলো লাশ উদ্ধার হয়েছে এই তিন দিনে তার অধিকাংশ উদ্ধার করেছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। এবং কিছু লাশ নদীর কিনারে আটকে ছিল।
খগেন রায় ও শমসের নামে দুই ব্যক্তি অভিযোগ করেন, আজ সকাল ৬টার পর পেড়াল বাড়ি ও তেলীপাড়া এলাকায় লাশ আটকে থাকার খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসে। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেই লাশ উদ্ধারে যান প্রায় ৩-৫ ঘণ্টা পর। আর নদীতে নেমে লাশ উদ্ধারে তাদের দায়সারা মনোভাব প্রথম থেকে ছিল বলে জানান তারা।
বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোলেমান আলী বলেন, ভাটির দিকে এখন বেশি লাশ উদ্ধার হচ্ছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব লাশের পরিচয় শণাক্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা করছি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: