আগামী ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এ উৎসবকে ঘিরে শেষ মুহূর্তে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎ-শিল্পীরা।
সেইসঙ্গে মন্দিরের সাজসজ্জাসহ সার্বিক কাজও চলছে এগিয়ে। এ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রায় ১৪৫টি মণ্ডপে আয়োজনের ভিন্নতা থাকার পাশাপাশি জমকালো হবে দুর্গাপূজার আয়োজন। এমনটাই জানিয়েছেন আয়োজক ও পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা। ধর্ম যার যার উৎসব সবার এ বিশ্বাসে সব মিলিয়ে এবারের পূজাতেও কোনো কমতি থাকবে না বলে জানান তারা।
এদিকে পূজামণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী কোনো ধরনের কার্যক্রম হলে সংশ্লিষ্ট কাউকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা। এরইমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের। আবার পূজা উদযাপন পরিষদ থেকেও মন্দিরগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডাবলু কুমার ঘোষ জানান, ধর্মীয় এ উৎসবকে ঘিরে চলছে চারদিকে সাজ সাজ রব। এরইমধ্যে সেচ্ছাসেবক নির্ধারণসহ মণ্ডপ ও মন্দিরের আঙিনার নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। যদিও অনেক মন্দির প্রাঙ্গণে আগে থেকে সিসি ক্যামেরা রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্র থেকে পাঠানো ২৬ দফার নির্দেশনা সব মন্দির ও পূজা কমিটির কাছে পাঠানো হচ্ছে। এ নির্দেশনা মেনেই সবাইকে পূজা উদযাপন করার অনুরোধ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এ বছর মোট ১৪৫টি মন্দিরে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬০টি, নাচোলে ১২টি, গোমস্তাপুরে ২৯ টি শিবগঞ্জে ৪১টি ও ভোলাহাট উপজেলায় ৩টি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার এইচ এম আব্দুর রকিব বিপিএম, পিপিএম (বার) বলেন, সাদা পোশাকে আমাদের পুলিশি টহল থাকবে। এছাড়া র্যাব-আনসার বাহিনীসহ অন্যান্য সংস্থা নিয়োজিত থাকবে, তবে কোথাও কোনো ব্যত্যয় ঘটলে আমাদের অবগত করবেন। যত বেশি আপনারা তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন তত বেশি নিরাপদ ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: