ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু বলেছেন, মানুষকে নিরাপদ রাখাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
কোভিড-১৯ টিকাদান, ইপিআই সহ, মশকনিধন ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করেছে। তবে, এতে সন্তুষ্ট থাকার সুযোগ নেই। এখনও বহুক্ষেত্রে আমাদের যাত্রাকে আরও গতিশীল করতে হবে। উচ্চরক্তচাপ-স্থুলতা রোধে সচেতনতা ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের উপর গুরুত্বারোপ করে মেয়র বলেন, উচ্চ রক্তচাপ, স্থুলতা আমাদের সামগ্রিক সুস্থতার উপর প্রভাব বিস্তার করে।
এ বিষয়ে সচেতনতার বার্তা নিয়ে মানুষের কাছে যেতে হবে। মানুষকে সচেতন করা গেলে বহু রোগকে এমনিতেই এড়ানো সম্ভব হবে। বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের (মসিক) স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে নগর ভবনের শহীদ শাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে স্থানীয় পর্যায়ে উচ্চরক্তচাপ ও স্থুলতা স্ক্রিনিং বিষয়ক কার্যক্রম ফলফল শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্যানেল মেয়র-৩ সামীমা আক্তার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এইচ কে দেবনাথ, জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ মহাবুল হোসেন রাজীব, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সার্ভিলেন্স এন্ড ইম্যুনাইজেশন মেডিকেল অফিসার ডাঃ নুসরাত আফরিন মোহসিন, জনস্বার্থ বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফাহমিদা ইসলাম, স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদারসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ, সভায় বাংলাদেশ নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় সেভ দ্যা চিল্ড্রেন এবং সিডিসির সহযোগিতায় গত ২১ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ১৮ টি ওয়ার্ডে ১৬ হাজার ১০৫ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে উচ্চ-রক্তচাপ ও ওজন পরিমাপ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রমের ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। এতে দেখা যায়, সিটির প্রায় ১৮ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন এবং উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় ৬ শতাংশ মানুষ। এছাড়া অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে স্থুলতার হার প্রায় ৬ শতাংশ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: